জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তাই আগামী ২১ হতে ২৮ দিনের মধ্যে যে কোন সময় কার্যকর হতে পারে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত এ খুনির।
বঙ্গভবন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে দৈনিক সমকাল জানায়, প্রাণভিক্ষার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় মাজেদের দণ্ড কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকছে না।
এর আগে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল চৌধুরী বুধবার আসামির উপস্থিতিতে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন। এর পর তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর পরপরই লালসালু কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যু পরোয়ানা আদালত থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এর পর তাকে আদালতের আদেশ পড়ে শোনানো হয় বলে কারাগারের জেলার মাহবুব আলম সমকালকে বলেন।
পরে বুধবারই কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন মাজেদ। বিকেলে আবেদনের পর বুধবার সন্ধ্যায় কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রাণভিক্ষার আবেদনটি রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছায়।
এর আগে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানিয়েছিলেন, আবদুল মাজেদ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন না করলে বা তার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে কারা কর্তৃপক্ষের সামনে দণ্ড কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকবে না।
তিনি বলেন, আপিলের সময় অনেক আগেই পার হয়ে গেছে। কারণ বিচারের সময় আসামি মাজেদ পলাতক ছিলেন। ওই সময় পলাতক ফাঁসির আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিল। আপিল করতে দেরি হওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ আসামি দেখাতে পারবেন না। সুতরাং কোনো সুযোগ তিনি পাচ্ছেন না। আগামী ২১ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে যে কোনো সময় রায় কার্যকর হবে।