সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে, জরুরি সার্ভিসের জন্য পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ওষুধ, জ্বালানি, পচনশীল দ্রব্য, ত্রাণবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। কিন্তু পণ্যবাহী পরিবহন ও ট্রাকে কোনোভাবেই যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।’
ওবায়দুল কাদের শনিবার (৪ এপ্রিল) তার সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাধারণ ছুটির মধ্যে যানবাহনের ফিটনেস কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে জরিমানা ছাড়া নির্ধারিত ফি ও কর দিয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত লাইসেন্স আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পাড় অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশপাশি সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের এগিয়ে আাসার আহ্বান জানান। তবে সামাজিক দূরত্ব ও জমায়েত যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্সের মতো উন্নত দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা অনেক ভালো। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যথাসময়ে যথোপযুক্ত পদক্ষেপের কারণেই সম্ভব হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ মার্চ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকার কথা থাকলেও আজ তা ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন