করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলতি বছরে বাংলা নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ৬৪ জেলার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
জনসমাগম পরিহার করে নববর্ষ উদযপানের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘নববর্ষের অনুষ্ঠান আপনারা ডিজিটাল পদ্ধতিতে করতে পারেন। সেখানে সবাই যত খুশি উৎসব করুন। জনসমাগম করে এই অনুষ্ঠান সারা বাংলাদেশে বন্ধ রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কষ্ট বেশি লাগছে এটা ঠিক নববর্ষ অনুষ্ঠান আমরা শুরু করেছিলাম অনেক বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে। কিন্তু সেটাও আজকে বন্ধ রাখতে হচ্ছে। মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে এটা বন্ধ রাখছি।’
করোনা সংক্রমণরোধে ছুটির মেয়াদ বাড়তে পারে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ছুটি দিয়েছিলাম, হয়তো আমাদের আরও কয়েকদিন বাড়াতে হতে পারে। কারণ অনেকে গ্রামে চলে গেছেন সেখানে কোনো রকম যেন এ রোগের প্রার্দুভাব দেখা না দেয় সে সময়টা হিসেব করে- আমরা ১০/১২ দিনের ছুটি দিয়েছিলাম। এটা ১৪ দিন করতে হবে। ৯ তারিখ পর্যন্ত হতে পারে। ছুটিটা সীমিত আকারে আমাদের একটু বাড়াতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মোকাবিলায় দেশের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করাটা জরুরি। আমাদের দেশটা ছোট কিন্তু জনসংখ্যা বিশাল। এরপরও আমরা মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পেরেছি। সেজন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে নিয়ন্ত্রণ পর্যায়ে রয়েছে।
সবাইকে ঘরে অবস্থানের পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনা প্রতিরোধে মানুষের করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আপনারা এসব নির্দেশনা মেনে চলুন। কেননা নিজেদের সুরক্ষা নিজেদেরই করতে হবে।
করোনা উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে কোনো লুকোচুরি করার সুযোগ নেই। লুকোচুরি করলে নিজের জীবনকেই ঝুঁকিতে ফেলে দেয়া। জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। জনকল্যাণে যেসব কাজ করতে হবে তা যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।