ফেনীতে র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে প্রথম জাতীয় বীমা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আজ রবিবার (১মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় ‘বীমা দিবসে শপথ করি উন্নত দেশ গড়ি’ এ প্রতিপাদ্যে শহরের গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, আজ ভোটার দিবসও। বীমার গুরুত্ব বিবেচনায় সরকার ভোটার দিবস আগামীকাল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে।


বীমার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, বীমা একটি সঞ্চয়। বীমাকর্মীর দায়িত্ব হলো মানুষের আস্থা অর্জন করা, মানুষকে বোঝাতে পারা।


বীমা নিয়ে প্রতারণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু ভুয়া বীমা কোম্পানী টাকা আত্মসাতের কারনে মানুষের আস্থা হারিয়েছে। রেজিস্ট্রিবিহীন কোম্পানী মাঠে কাজ করলে আমাদের জানাবেন। গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি বীমা কোম্পানী দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমাদের জানাবেন।


বীমাকর্মীদের কর্মপরিকল্পনা তৈরী প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, মুজিববর্ষকে সেবাবর্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। আপনারা সেবা ক্যালেন্ডার তৈরী করুন। মানুষকে কি সেবা দিবেন তা লিপিবদ্ধ করুন।


সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ঘরে ঘরে যেন বীমা পৌঁছে যায়।


বীমা সম্পর্কে তিনি বলেন, বিমা একটি সেইফ ফিউচার। বীমাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জনগনের সামনে বীমার উপযোগিতা বিস্তারিভাবে তুলে ধরবেন। যিনি বীমা করবেন তিনি যদি বীমা পলিসির সাথে খাপ খেতে না পারে তবে তিনি তাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধদ করবেন না।


সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম, পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স এর আইজিআরএ সোলেমান হোসেন সোহাগ। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা তথ্য অফিসার মোঃ বেলায়েত হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার কাজী সলিম উল্লাহ প্রমূখ।


আলোচনা সভার আগে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে শুরু হয়। র‌্যালীটি শহরের ট্রাংক রোড হয়ে শান্তি কোম্পানী সড়কের মুখে গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে ফেনী জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পাঁচ শতাধিক বীমা কর্মী র‌্যালীতে অংশগ্রহণ করেন।