কিডনী জটিলতায় আক্রান্ত রোগীদের স্বল্পমূল্যে উন্নত চিকিৎসা প্রদানে ফেনী জেনারেল হাসাপাতালে চালু করা হয়েছে হিমোডায়ালাইসিস বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১২টায় ফলক উম্মোচনের মাধ্যমে ও ফিতা কেটে বিভাগটি চালু করেন ফেনী-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীর প্রাক্কালে ফেনীবাসীর জন্য একটি উপহার হচ্ছে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে হিমোডায়ালাইসিস ইউনিট, যা আমরা আজকে উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, একজন রোগীকে সর্বসাকুল্যে ৫শ টাকা চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে হবে। এর বাইরে রোগী প্রতি ৭শ টাকা মুজিব জন্মশতবর্ষের উপহার হিসেবে সরকার বহন করবে।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান বলেন, ফেনী জেনারেল হাসপাতালে হিমোডায়ালাইসিস বিভাগ মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ হতে ফেনীবাসীর জন্য উপহার। বক্তব্যে তিনি বিভাগটি চালু করার জন্য সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীকে ধন্যবাদ জানান।


স্বাস্থ্য বিভাগের চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ হাসান শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বি.কম।


অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ও বিএমএ ফেনী জেলার সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ সাহেদুল ইসলাম কাওসারের উপস্থিতিতে এবং সাধারণ সম্পাদক ডাঃ বিমল চন্দ্র দাসের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ফেনী জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ কামরুজ্জামান, ফেনী সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা, ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন।


হিমোডায়ালাইসিস বিভাগের উদ্বোধন ও আলোচনা সভা শেষে সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত একটি এ্যাম্বুলেন্স আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেন।


হিমোডায়ালাইসিস বিভাগের সেবা প্রসঙ্গে হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ইকবাল হোসেন ভূঞা জানান, হাসপাতালের পুরাতন ভবনে স্থাপিত ১০ শয্যার হিমোডায়ালাইসিস বিভাগে তিন শিফটে ৩০জন রোগীকে ডায়ালাইসিস সেবা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রভাতী শিফটে প্রতিদিন ৪জন রোগী সেবা পাবেন। তিনি জানান, এ সেবা প্রদানে ৪জন সেবিকা ও একজন ডাক্তারকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আর একজন চিকিৎসককে এ কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। অচিরেই তিনটি শিফট চালু করে প্রতিদিন ৩০ জন রোগীর সেবা নিশ্চিত করা হবে।