৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ।। ফেনী ডেস্ক।।


এবারের প্রাইমারী স্কুল সার্টিফিকেট (পিএসসি) পরীক্ষায় ফেনীতে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৬৩ জন শিক্ষার্থী। এবারের সমাপনী পরীক্ষায় জেলা হতে ২৩ হাজার ৬শ ৫৯ জন অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৩ হাজার ১শ ১৩ জন পরীক্ষার্থী। শতকরা ৯৭.৬৯ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। জিপিএ ৪ পেয়েছে ৩ হাজার ৬৩ জন শিক্ষার্থী।


অন্যদিকে ইবতেদায়ীতে ৭ হাজার ৪শ ১০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৭ হাজার ১শ ৭ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। জেলায় পাশের হার ৯৫.৯১%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৫৭ জন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জেলা শিক্ষা অফিস জানায়, পিএসসিতে পাশের হারে জেলার শীর্ষে রয়েছে সোনাগাজী। এ উপজেলা হতে ৪ হাজার ১শ ১৯ জন পরীক্ষার্থী এবারের সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৪ হাজার ৮৫ জন পাশ করেছে।


পাশের হারে জেলায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দাগণভূঞা উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা হতে ৪ হাজার ৩শ ৭৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৪ হাজার ৩শ ৩১ জন পাশ করে। পাশের হার ৯৮.৯৭%। জিপিএ ৫ পায় ৪শ ৩৪জন শিক্ষার্থী।

পাশের হারে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পরশুরাম উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা হতে ১ হাজার ৬শ ৯৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ১ হাজার ৬শ ৬৯ জন শিক্ষার্থী। পাশের হার ৯৮.৫২%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১শ ৫৪ জন শিক্ষার্থী।


পাশের হারে এরপরে রয়েছে ফেনী সদর উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা হতে ৮ হাজার ৮শ ৪৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ৮ হাজার ৫শ ৫৩জন শিক্ষার্থী। পাশের হার শতকরা ৯৬.৯৫। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪শ ৫৯ জন শিক্ষার্থী।


পাশের হারে সবার নিচে রয়েছে ফুলগাজী উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা হতে ১ হাজার ৮শ ৬৭জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১ হাজার ৭শ ৮২ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। পাশের হার ৯৫.৪৫%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৪২জন শিক্ষার্থী।


অন্যদিকে ইবতেদায়ীতে জেলা হতে ৭ হাজার ৪শ ১০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করে ৭ হাজার ১শ ৭ জন পরীক্ষার্থী। জেলায় পাশের হার ৯৫.৯১%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৫৭ জন পরীক্ষার্থী।


ইবতেদায়ীতে পাশের হারের ভিত্তিতে জেলায় শীর্ষস্থানে রয়েছে ফুলগাজী উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা হতে ৪শ ৩৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৪শ ৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাশের হার ৯৯.৫৪%। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪জন শিক্ষার্থী।


এরপরে রয়েছে সোনাগাজী উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা হতে ১ হাজার ২শ ৯৮জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১ হাজার ২শ ৭৭ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাশের হার ৯৮.৩৮%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪০ জন শিক্ষার্থী।


পাশের হারে এরপর রয়েছে ছাগলনাইয়া উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা হতে ১ হাজার ১শ ৮৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১ হাজার ১শ ৬২জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। পাশের হার ৯৭.২৪%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬৬ জন।


পাশের হারে ৪র্থ স্থানে রয়েছে দাগনভূঞা উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা হতে ১ হাজার ৪শ ৩১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১ হাজার ৩শ ৬৯ জন। পাশের হার ৯৫.৬৭%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩২জন।


পাশের হারে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ফেনী সদর উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা হতে ২ হাজার ৫শ ৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করে ২ হাজার ৩শ ৯২ জন। পাশের হার ৯৫.৫৭%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৮৫ জন।


পাশের হারে সর্বনিন্ম অবস্থানে রয়েছে পরশুরাম উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা হতে ৫শ ৪৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৪শ ৭০ জন শিক্ষার্থী পাশ করে। তার মধ্যে জিপিএ ৫ পায় ১০ জন।


জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নূরুল ইসলাম বলেন, ফলাফল সন্তোষজনক। বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান বাড়াতে জেলা প্রশাসনের তদারকি ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের প্রচেষ্টার ফলে এ ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়েছে।