দাগনভূঞা ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে টাকা ও মালামাল হারিয়েছেন সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দুই চাকুরিজীবী। তারা হচ্ছেন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার (মাঠ) আবুল হাসনাত ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের অফিস সহায়ক মোঃ নূর উদ্দিন জাহাঙ্গীর। গত রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার বেকের বাজার এলাকায় চোখ বেঁধে মারধর করে টাকা, মূল্যবান কাগজপত্র ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে দুবৃর্ত্তরা।

অফিস সহায়ক জাহাঙ্গীর জানান, ওইদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অফিস থেকে বের হয়ে উপজেলা পরিষদ গেইট থেকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে ফেনীর উদ্দেশ্যে রওনা হই। পথিমধ্যে উপজেলার বেকের বাজার নামক স্থানে সিএনজিতে থাকা দুইজন যাত্রী আমাকে ছুরি বের করে ভয় দেখিয়ে চোখ ও হাত বেঁধে ফেলে। কিছুক্ষণ পর চোখ খুলে দেয়। আমার আত্মীয় স্বজনকে একলক্ষ টাকার জন্য ফোন করতে বলে। টাকার কোনো ব্যবস্থা না হওয়ায় দূর্বৃত্তরা উপস্থিত একশত টাকার অলিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করতে বলে। স্বাক্ষর দিতে অস্বীকার করায় আমাকে লোহার রড দিয়ে মারধর করে। পরে ভয়ে আমি স্বাক্ষর করি। এসময় আমার পকেটে থাকা ২ হাজার ৪৭০ টাকা, স্যামসাং এন্ড্রয়েড মোবাইল, জাতীয় পরিচয়পত্র, অফিসের পরিচয়পত্র এবং এনসিসি ব্যাংকের এটিএম কার্ডসহ মূল্যবান কাগজপত্র নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যার পর চোখ বেঁধে উপজেলার সিলোনিয়া এলকায় ফেলে যায়।

একইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পর উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার আবুল হাসনাতের সাথে একই ধরনের ঘটনা ঘটে।

আবুল হাসনাত জানান, উপজেলা গেইট থেকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে ফেনী যাচ্ছিলাম পথিমধ্যে বেকের বাজার নামক স্থানে পৌঁছালে দূর্বৃত্তরা চোখ ও হাত বেঁধে ফেলে। এসময় পকেটে থাকা প্রায় ২ হাজার ২০০ টাকা নিয়ে যায়। তারা আমার মোবাইলের বিকাশ একাউন্টের পিন নাম্বার দিতে বলে, পিন নাম্বার না দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়।

এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশের টিম কাজ করছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিবেদিতা চাকমা জানান, থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি দেখছে।