গত ২৪ ঘন্টায় ফেনীর ১৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে যার মধ্যে ৯৮টি পজিটিভ এসেছে। নমুনা অনুপাতে শনাক্তের হার ৫০.৫১ শতাংশ। এ সময়ের ব্যবধানে ফেনীতে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার (৭ জুলাই) এসব তথ্য জানায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ফেনী সদরে ৫৪ জন, দাগনভূঞায় ৭ জন, ছাগলনাইয়ায় ২০ জন, পরশুরামে ১৩ জন এবং ফুলগাজীতে ৪ জন রয়েছে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়েছে পরশুরামের দক্ষিণ কোলাপাড়ায় গিয়াস উদ্দিন নামে ৩৫ বছর বয়সী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, গত সোমবার নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ এসেছিল। গতকাল মঙ্গলবার নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।

স্বাস্থ্যবিভাগ জানায়, আজ বুধবার (৭ জুলাই) পর্যন্ত জেলায় মোট কোভিড-১৯ শনাক্তকৃত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯ জন। মৃত্যু হয়েছে মোট ৮০ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে ৪ হাজার ৯ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৮ জন রোগী। আজ পর্যন্ত ফেনীতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮৮৯ জন, যাদের মধ্যে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৮১৮ জন।

ফেনীতে মোট করোনা শনাক্তকৃত ৫ হাজার ৯ জন ব্যক্তির মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে ফেনী সদরে ২ হাজার ৩৬৩ জন। যা মোট শনাক্তের ৪৭.১৭ শতাংশ। শনাক্তের দিকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দাগনভূঞা উপজেলা। আজ পর্যন্ত এ উপজেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৭৬৩ জন। এরপরে ছাগলনাইয়া উপজেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৭০৪ জন। সোনাগাজী উপজেলায় শনাক্ত হয়েছে ৫১৫ জন, পরশুরামে শনাক্ত হয়েছে ৩৪৩ জন। সর্বনিম্ন শনাক্ত হয়েছে ফুলগাজীতে ২৮০ জন। এছাড়া ফেনীর বাইরের রোগী রয়েছেন ৪১ জন।

শনাক্তের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ফেনী জেনারেল হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে তিন গুণের বেশি। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: আবুল খায়ের মিয়াজী জানান, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৩০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছেন ১১১ রোগী, যাদের মধ্যে ৩৮ জন করোনা পজিটিভ। এদের মধ্যে ৮২ জনকে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে। আর আইসিইউতে রয়েছেন ১০ জন।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭১ জন রোগী। এদের মধ্যে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ৩৮ জন, দাগনভূইয়ায় ১৬ জন, ছাগলনাইয়ায় ১০ জন, পরশুরামে ৪ জন, সোনাগাজী ২ এবং বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছেন ২ জন রোগী।

একই সূত্র জানায়, আজ পর্যন্ত করোনা পরীক্ষার জন্য ফেনীতে ২৫ হাজার ৭৪২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মধ্যে ২৫ হাজার ৬৪২ টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। মোট নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে গড় শনাক্তের হার ১৯.৫৩ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত ফেনীতে টেলিমেডিসিন সেবা নিয়েছেন ৬৬ হাজার ৪১৭ জন।
আজ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারী মোট ৮০ জনের মধ্যে ফেনী সদরে সর্বোচ্চ ৩৫ জন, সোনাগাজীতে ১৫ জন, দাগনভূইয়ায় ১৩ জন, ছাগলনাইয়ায় ১০ জন, পরশুরামে ৪ জন এবং ফুলগাজীতে ৩ জন রয়েছে।