গত ১ জুলাই হতে কঠোর বিধিনিষেধের আজ পর্যন্ত ৫ দিনে ফেনীতে নির্দেশনা অমান্য করায় মোট ১ হাজার ৫৯৩ জনকে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর মধ্যে প্রথম দিনে প্রথম দিনে ফেনীতে ৯৯ জনকে ৪৫ হাজার ৫শ ৫০ টাকা, দ্বিতীয় দিনে ৩২৩ জনকে ৮৭ হাজার ২০ টাকা, তৃতীয় দিনে ফেনীতে ৪১৬ জনকে ৯৫ হাজার ৫০ টাকা, চতুর্থ দিনে ফেনীতে ৩৫১ জনকে ১ লাখ ৪শ ৮০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এছাড়া আজ সোমবার (৫ জুলাই) পঞ্চম দিনে ফেনীতে ৩৯৫টি মামলায় ৩৯৯ জনকে ৯৩ হাজার ৮শ ৫০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল সূত্র জানায়, আজ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার রোধে দিনভর জেলা শহর ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথকভাবে অভিযান পরিচালনা করেন ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আজ সোমবার দিনব্যাপী ফেনী সদরের বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত অভিযানে নির্দেশনা অমান্য করায় ২৬ জনকে ৪ হাজার ৪শ টাকা জরিমানা করেন ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরীন সুলতানা। একইদিন পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা দত্ত অভিযান চালিয়ে ২২ ব্যক্তিকে ৯শ টাকা জরিমানা করেন। অন্যদিকে দাগনভূঞা সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া। ইউএনও জানান, অভিযানে নির্দেশনা অমান্য করায় ও মাস্ক পরিধান না করায় ৩১ জনকে ৯ হাজার ১শ টাকা জরিমানা করা হয়।

একইভাবে ফেনীর ৬ উপজেলায় দায়িত্বরত ৬ সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ স্বাস্থ্যবিধি ও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকানপাট খোলা রাখায় ১৪৮ জনকে ৩৭ হাজার ৬শ টাকা জরিমানা করেন।

অন্যদিকে আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে পৃথকভাবে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবাইয়া আফরোজ, তমালিকা পাল, মো: মনিরুজ্জামান, আফরোজা আফসানা, এনএম আবদুল্লাহ আল মামুন, রজত বিশ্বাস, লিজা আক্তার বিথী ও সজল কুমার দাস। অভিযানে মোট ১৬৮ জনকে ৪১ হাজার ৮শ ৫০ টাকা জরিমানা করেন তারা।

অভিযানগুলোতে অননুমোদিতভাবে খোলা রাখা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে সচেতন করা ও জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না বের হতে বলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।

অভিযানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন।