গত ২৪ ঘন্টায় ফেনীর ১৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে যার মধ্যে ১০৭টি পজিটিভ এসেছে। নমুনা অনুপাতে শনাক্তের হার ৫৪.৮৭ শতাংশ। এটিই আজ পর্যন্ত ফেনীতে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের হার। অন্যদিকে গতকাল রবিবার ২১৯ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৯৭ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছিল। শনাক্তের হার ছিল ৪৪.৭৪ শতাংশ। আজ সোমবার (৫ জুলাই) এসব তথ্য জানায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ফেনী সদরে ৬১ জন, দাগনভূঞায় ৪ জন, সোনাগাজীতে ১ জন, ছাগলনাইয়ায় ১৯ জন, পরশুরামে ১৭ জন এবং ফুলগাজীতে ৫ জন রয়েছে। অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে ফেনীতে ফখরুল ইসলাম নামে আরও এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ফেনী পৌরসভার ১৫ নাম্বার ওয়ার্ড মধুপুরে বাসিন্দা। গত ৩ জুলাই ফেনীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সংক্রমণের হার উর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ফেনীতে করোনা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। তাছাড়া সংক্রমণের ঢেউ গত বছরের ন্যায় এবছরও একই সময়ে এসে দ্রুত ছড়াচ্ছে।

স্বাস্থ্যবিভাগ জানায়, আজ সোমবার (৫ জুলাই) পর্যন্ত জেলায় মোট কোভিড-১৯ শনাক্তকৃত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৮৫ জন। মৃত্যু হয়েছে মোট ৭৭ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে ৩ হাজার ৯২৩ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩২ জন রোগী। আজ পর্যন্ত ফেনীতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৫৪ জন, যাদের মধ্যে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৬৯৪ জন।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬০ জন রোগী। এদের মধ্যে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ৩৭ জন, দাগনভূইয়ায় ১১ জন, ছাগলনাইয়ায় ৭ জন, পরশুরামে ৩ জন, সোনাগাজী ১ এবং বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছেন ১ জন রোগী।

একই সূত্র জানায়, আজ পর্যন্ত করোনা পরীক্ষার জন্য ফেনীতে ২৫ হাজার ২৫১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মধ্যে ২৫ হাজার ২১৭ টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। মোট নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে গড় শনাক্তের হার ১৮.৯৭ শতাংশ।

গতকাল পর্যন্ত ফেনীতে টেলিমেডিসিন সেবা নিয়েছেন ৬৬ হাজার ২ জন। গত বছরের ১৬ এপ্রিল জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়েছিল।