জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত হবার আহ্বান জানানো হয়েছে। আজ রবিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় ফেনী মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে শহরের জেল রোডে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ আহ্বান জানান বক্তারা।

আজ সকালে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, পৃথিবী যতদিন থাকবে এ দিনটি ঘুরে ঘুরে আসবে। ততদিন সকলে স্মরণ করবে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার দেশ গড়তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবীত হয়ে প্রত্যকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেষ্টা হতে হবে।

বক্তব্যে যুদ্ধকালীন সময়ে ফেনীর ভৌগলিক অবস্থানের গুরুত্ব তুলে ধরে পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে যুদ্ধকালীন সময়ে ফেনী একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ছিল। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা নিস্ক্রিয় করলে অন্য জেলার কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যেত।  তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করছেন। সব সময় আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। দেশের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে পুলিশ সুপার বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের প্রেরণা। তারা বেঁচে থাকার ফলেই আমরা যুদ্ধকালীন সময়ের ইতিহাস জানতে পারি। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থাকতে হবে, তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে।

বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমান বিকম বলেন, যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিহত করে যাব।

সমাবেশে যুদ্ধকালীন সময় ও ফেনীকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্ত করার বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিব উল্লাহ বাহার ভূঞা, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আবদুল মোতালেব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা হোসেন। মুক্তিযুদ্ধ সংসদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট প্রিয়রঞ্জন দত্ত।

সভায় মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছাড়া দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব না। এক শ্রেণীর মৌলবাদী গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য তৈরীতে বাধাসহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছ, এদের শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে।

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছা: সুমনী আক্তার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন চৌধুরী, ফেনী সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর বিমল কান্তি পালসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।