ফেনী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের শূন্য পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খায়রুল বাশার মজুমদার তপনকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৩ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী এ ঘোষণা দেন।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী হবার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে খায়রুল বাশার মজুমদার তপন দৈনিক ফেনীকে বলেন, এটি আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অন্যতম প্রাপ্তি। এ আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।

এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতাসহ স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তপন। নির্বাচনে তাকে সহযোগিতা করার জন্য ফেনী ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাছিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়া প্রয়াত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজ আহম্মেদ চৌধুরীর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন তিনি।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আজ বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় নির্ধারিত ছিল। খায়রুল বাশার প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করায় উপ নির্বাচনে একক প্রার্থী হিসেবে তাকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। নাছির উদ্দিন জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে।

নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, ফেনী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজ আহমেদ চৌধুরী মৃত্যুতে শূণ্য পদের নির্বাচনের লক্ষ্যে গত ৩ নভেম্বর উপ নির্বাচনের তফসিল করে নির্বাচন কমিশন। গত ১৫ নভেম্বর ছিলো মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একমাত্র প্রার্থী খায়রুল বাশার মজুমদার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরপর ১৭ নভেম্বর যাচাই বাছাইয়ের পর তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

ঘোষণাকালে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম, পরশুরাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল আলিম, সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী লিপটন, ব্যাংকার জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী পাপ্পু, পরশুরাম পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজ আহম্মদ চৌধুরীর মৃত্যুতে চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়।