আজ বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শালধর গ্রামের হোনা মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ভোরে ফজরের নামায পড়তে মসজিদে ছিলেন বাড়ির মুরুব্বীরা। তখন ওই বাড়ির হোনা মিয়ার বড় ছেলে ইয়াকুব টের পান বসত ঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করেছে। মুহুর্তেই আগুনের শিখা গ্রাস করে নেয় সবকিছু। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে যায় পরিবারটি। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তাদের সাজানো গোছানো সংসার।

ইয়াকুব জানান, ভোরে ঘরে সবাই নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যায়। ওই সময় হঠাৎ দেখি পুরো ঘরে আগুন জ্বলতেছে। তড়িঘরি করে ঘরে থাকা শিশু এবং মহিলাদের নিয়ে বের হয়ে আসি আগুনের মধ্য দিয়ে। পরশুরাম ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলেও তারা সময়মত এসে পৌঁছাতে পারে নি। আগুন লাগার ৫ মিনিটের মধ্যেই ঘরের আসবাবপত্রসহ যাবতীয় জিনিসপত্র সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরনে থাকা জামা কাপড় ছাড়া আর কোন কিছুই রক্ষা করতে পারিনি। শেষ মুহুর্তে ফায়ার সার্ভিস এসেও কোন লাভ হয়নি।

তিনি বলেন, ঘরে থাকা নগদ, টাকা স্বর্ণালঙ্কার, ফ্রিজ, টিভি, খাট-পালঙ্কসহ কিছুই অবশিষ্ট নেই। আমার পুরো নিঃস্ব হয়ে গেছি। প্রায় ২৫ লাখ টাকার মত ক্ষতি হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে তিনি ধারণা করছেন।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, ঘরের সব কিছু পড়ে কয়লা হয়ে পড়ে রয়েছে। পিলারগুলো যেন শূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে।

পরশুরাম ফায়ার এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার সারাংগ মারমা জানান, রাস্তা প্রশস্ত না থাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হয়ে গেছিল। আমাদের সাথে ফুলগাজী ফায়ার সার্ভিসের একটি দলও যোগ দিয়েছিল। শর্ট সার্কিটের কারণে এ দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।