পদোন্নতি ও নিয়োগ বিধি সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশনের ফেনী জেলা শাখার সদস্যরা।

বুধবার (১১ নভেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে ফেনী জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামানের হাতে তিন দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছে এসোসিয়েশনের নেতারা।

এসময় এসোসিয়েশনের ফেনীর সভাপতি মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন ফারুকসহ সদস্যরা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন করেন তারা। এতে বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের ফেনী জেলার সাধারণ সম্পাদক ফেনী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের প্রধান তুলনাকারক জিয়াউদ্দিন ফারুক ও প্রধান উপদেষ্টা জেলা জজ আদালতের নাজির মোঃ মহসীন।

এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের ২০ হাজার বিচার বিভাগীয় কর্মচারী তিন দফার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সারাদেশে একযোগে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ প্রদান করা হচ্ছে। আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে দাবি আদায়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে ২৮ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। প্রয়োজনে লাগাতার কর্মবিরতির মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিচার বিভাগে কর্মরত নাজির, স্টেনোগ্রাফার, স্টেনো টাইপিস্ট, রেকর্ড কিপার, অ্যাকাউন্টেন্ট, প্রধান তুলনাকারক, বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) সহ প্রায় ৩০-৪০ পদের কর্মচারী রয়েছে। কিন্তু এরা জুডিসিয়াল কর্মচারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত নয়। এদের কোনো পদোন্নতির ব্যবস্থা নেই। এমন কি তাদের বেতন-ভাতাও জুডিসিয়াল পে-স্কেল অনুসারে হয় না।

বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের দাবিসমূহ হচ্ছে, অধস্তন আদালতের কর্মচারীদের বিচার বিভাগীয় কর্মচারী হিসেবে গণ্য করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন ভাতা প্রদান। সকল ব্লক পদ বিলুপ্ত করে যুগোপযোগী পদ সৃজন পূর্বক হাইকোর্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের ন্যায় যোগ্যতা ও জেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রতি ৫ বছর পরপর পদোন্নতি অথবা উচ্চতর গ্রেড প্রদানের ব্যবস্থা করা। অধস্তন সকল আদালতের নিয়োগ বিধি সংশোধন করে এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন।