দাগনভূঞায় এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, পুলিশ খবর পেয়ে বুধবার রাতে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) সকালে ধর্ষিত ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। এ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হল উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হারবাল চিকিৎসক ডাঃ করিম মহাজন ও ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের শরীফপুর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন।

ই কিশোরীর মা জাহানারা বেগম জানান, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড বেতুয়া গ্রামের আলমগীরের বাসায় দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকেন তারা। দীর্ঘদিন ধরে নানা প্রলোভন দেখিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে হারবাল চিকিৎসক করিম মহাজন। অপর দিকে একা পেয়ে বেলাল হোসেনও তাকে ধর্ষন করে। একপর্যায়ে সে গর্ভবতী হয়ে পড়লে করিম মহাজন কৌশলে গর্ভপাত করান। ঘটনা জানাজানি হলে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে টাকা দিয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়।

ধর্ষণের শিকার মেয়েটি জানায়, করিম মহাজন দীর্ঘ তিন বছর যাবত আমাকে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণের ফলে আমি গর্ভবতী হয়ে পড়লে গভের্র সন্তান নষ্ট করেন তিনি। বেলাল হোসেনও তিন মাস যাবত আমাকে ধর্ষণ করে আসছে।

করিম মহাজন উপজেলার মাতুভুঞা ইউনিয়নের মোমারিজপুর গ্রামের মোঃ ইস্রাফিলের ছেলে ও বেলাল হোসেন ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে।

থানার ওসি জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।