ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শূণ্যরেখায় (নো ম্যানস ল্যান্ড) খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা পরশুরামের দুই সহোদর মোঃ করিম (২৮) ও স্বপন (২৪) এর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রবিবার (১৮ অক্টোবর) সাড়ে ১১টার দিকে দিকে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক শেষে লাশগুলো উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি।

তারা পরশুরামের পৌর এলাকার গুথুমা গ্রামের খারিজকোনা গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডের মোস্তফা মেম্বার বাড়ী সংলগ্ন কালাধন সরকারের ছেলে। দিনমজুরের কাজ করতেন দুজনে।

তাদের বাবা জানান, ফজরের নামাযের কিছু পূর্বে তারা মাছ ধরতে বেরিয়ে গিয়েছিল।

স্থানীয় কাউন্সিলর রাসুল আহাম্মদ মজুমদার স্বপন জানান, আজ ভোরের দিকে সীমান্তের ১৫-২০ ফুট ভেতরে ভোরে লাশগুলো পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। তাদের পাশে একটি ভাঙ্গা ছাতা পড়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি জানান, স্থানীয়দের ধারনা, ভোরের দিকে বজ্রপাতের শিকার হয়ে তাদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

ছাগলনাইয়া-পরশুরাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিশান চাকমা জানান, এখনও তাদের মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তাদের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক শেষে লাশগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত হোসেন জানান, বেলা পৌনে ১২টার দিকে মরদেহগুলো আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। লাশগুলো থানায় আনা হচ্ছে। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।

গুথুমা বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার হাফিজ জানান, বিবিজি-বিএসএফ এর সাথে পতাকা বৈঠক শেষে লাশগুলো উদ্ধার করে পরশুরাম মডেল থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বিজিবি’র ফেনী ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ কামরুজ্জামান জানান, পরশুরামের গুথমা বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ২১৬৭/১১ এস এর নিকটবর্তী শুণ্য লাইন বরাবর হিল্লা টিলা নামক স্থানে তারা খালে জাল পেতে মাছ ধরছিলেন। নিহত ব্যক্তিদের শরীরে বজ্রপাতে পুড়ে যাওয়ার চিহ্ন রয়েছে।

পরিবারের ১০ সন্তানের মধ্যে ৫ম ও ৪র্থ সন্তান ছিলেন করিম ও স্বপন। তারা দুজনেই বিবাহিত। তার মধ্যে করিমের একটি ছেলে রয়েছে।