চাঞ্চল্যকর ইউনুস বাবু (২২) হত্যা মামলায় তাসপিয়া ভবনের কেয়ারটেকার মোজাম্মেল হক শাহীনের ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। আজ সোমবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে আসামী শাহীনকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে শুনানী শেষে বিচারক ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। তবে এ মামলার প্রধান আসামী ফেনী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কদলগাজী রোডের রেনু হাজারী বাড়ির নুরুল আলমের ছেলে মোঃ ইউনুছ নবী রাকিব এখনও পলাতক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনীর শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুদ্বীপ রায় জানান, আজ সোমবার দুপুরে শাহীনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানী শেষে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এ মামলার প্রধান আসামী রাকিবকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। তিনি জানান, শাহীনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।

আরও পড়ুন ⇒ ‘রাকিবই বাবুকে হত্যা করেছেঃ মায়ের অভিযোগ’

রবিবার সকালে বাবুর রেজিয়া বেগম মা বাদী হয়ে রাকিব ও কেয়ারটেকার শাহীনকে আসামী করে ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি রাকিব ও কেয়ারটেকার শাহীনকে আসামী করে অজ্ঞাত ৪/৫ দিনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।

এর আগে শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে শহরের পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন মনির উদ্দিন সড়কের তাসপিয়া ভবনের সেফটি ট্যাংক হতে আর্কিটেক ডিজাইন নিয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া বাবুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদনে বাবুর মাথার সামনে ও পেছনে ৫টি কোপের দাগ ও গলার কণ্ঠনালীতে দড়ি দিয়ে গিট দেয়া ছিল বলে উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুন ⇒ ‘বাবুর মাথায় ছিল ৫টি কোপের দাগ, গলায় রশি পেঁচানো’

খুনের ঘটনায় বন্ধু ইউনুছ নবী রাকিবকে হত্যাকারী দায়ী করছেন বাবুর মা রেজিয়া বেগম। তার দাবি, রাকিবসহ আরও কয়েকজন বাবুকে বাসা হতে ডেকে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর ওই ভবনের সেপটিক ট্যাংকে নিক্ষেপ করেছে।

আরও পড়ুন ⇒ ‘তাসপিয়া ভবনের সেপটিক ট্যাংকে মিলল আরও এক যুবকের লাশ’

শুক্রবার ভোরে ওই ভবনের সেপটিক ট্যাংক হতে মোঃ শাহরিয়ার নামে আরও এক যুবককে আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আরও পড়ুন ⇒ ‘পাঠানবাড়িতে যুবককে কুপিয়ে ফেলা হয়েছিল সেফটি ট্যাংকে’