দাগনভূঞার এক কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজন করা হয়েছিল বিয়েটির। পাত্রী ১৫ বছর বয়সী এক ছাত্রী। অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন বর ও কনে দুই পক্ষের আমন্ত্রিত অতিথিরা। বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন ছিল। কিন্তু শুক্রবার (২ অক্টোবর) দুপুরে পেয়ে দুপুরে ওই কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ে বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রবিউল হাসান। তার হস্তপেক্ষে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল মেয়েটি।

ইউএনও জানান, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন পৌরসভার একটি কমিউনিটি সেন্টারে দাগনভূঞা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। খবর পেয়ে তিনি পুলিশ নিয়ে ওই কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে উপস্থিত হন। সেখানে গিয়ে লোকজনের সাথে কথা বলে ও কাগজপত্র যাচাই করে বিয়ে বন্ধ করা হয়।

এসময় ভ্রাম্যমান আদালতে বর ও কনে পক্ষকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া জাল জন্ম নিবন্ধন সনদ বানিয়ে সংরক্ষণ করার অপরাধে মেয়ের চাচাকে তিনদিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। মেয়ের আঠার বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যাবে বলে মুচলেকা প্রদান করেছে দুই পক্ষ।