নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় গত দুদিন ধরে ফেনীতে করোনা শনাক্তের হার কমে এসেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নুমনা পরীক্ষায় অনুপাতে শনাক্তের হার প্রায় ২০ শতাংশের কাছাকাছি অবস্থান করলেও আজ বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সেটি এসে দাঁড়িয়েছে ৮.১৬ শতাংশে। আর মোট শনাক্তের প্রায় ৮০ শতাংশ রোগীই সুস্থ হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার ৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়।  নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ১০.৩৭ শতাংশ। এর আগের দিন সোমবার ৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত করা হয়। যার মধ্যে একটি ছিল দ্বিতীয় নমুনা। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ২১.১৭ শতাংশ।

আজ দুপুরে সিভিল সার্জন ডাঃ মীর মোবারক হোসাইন জানান, নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাব হতে সর্বশেষ প্রকাশিত ফেনীর ৪৯টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৫৮জনে। মোট শনাক্তের প্রায় ৩৫ শতাংশ ফেনী সদরের। আর ২২ শতাংশ দাগনভূঞা উপজেলার।

এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় মারা গেছেন মোট ৩৭ জন।

এ সময়ের মধ্যে নতুন করে আরও ৭ জন রোগী সুস্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ১ হাজার ৩৬১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফেনীতে সুস্থতার হার প্রায় ৮২.০২ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ২ শতাংশ।

মোট ৮ হাজার ২৫৬টি নমুনার ফলাফলে উক্ত সংখ্যা শনাক্ত করা হয়। মোট নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার প্রায় ২০.০৮ শতাংশ।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান শাখা সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার নোয়াখালীর আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ফেনীর ৪৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধে ৪টি পজিটিভ এসেছে। নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ফেনী সদরে ৩ জন ও দাগনভূঞায় ১ জন রয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮.১৬ শতাংশ।

স্বাস্থ্য বিভাগ প্রদত্ত তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ফেনীতে শনাক্ত ১ হাজার ৬৫৮ জন রোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে ফেনী সদরে ৫৮১ জন। শনাক্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দাগনভূঞা উপজেলা। এ উপজেলায় মোট শনাক্ত করা হয়েছে ৩৭০জন। এরপরে রয়েছে সোনাগাজীতে ২৪৬জন, ছাগলনাইয়ায় ১৯৫জন, পরশুরামে ১৩১ জন ও ফুলগাজীতে ১০৯ জন। এছাড়া ফেনীর বাইরের ২৩ জন রোগী রয়েছে।

গত ১৬ এপ্রিল জেলায় ছাগলনাইয়া উপজেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়।