ফেনীতে করোনাভাইরাস শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা ১৬শ ছাড়িয়েছে। নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাব হতে সর্বশেষ প্রকাশিত ফেনীর ১৮টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬০২জনে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় মোট মারা গেছেন মোট ৩৫ জন।

আজ শনিবার (২২ আগস্ট) সিভিল সার্জন ডাঃ মীর মোবারক হোসাইন এসব তথ্য জানান।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান শাখা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার নোয়াখালীর আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ফেনীর ১৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধে ৪টি পজিটিভ এসেছে। নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ফুলগাজীতে ১ জন ও দাগনভূঞায় ৪ জন রয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২.২২ শতাংশ।

এ সময়ের মধ্যে নতুন করে আরও ৪২ জন রোগী সুস্থ হয়েছে। আজ পর্যন্ত জেলায় মোট ১ হাজার ২৮৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ প্রদত্ত তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ফেনীতে শনাক্ত ১ হাজার ৬০২ জন রোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে ফেনী সদরে ৫৫৯ জন। শনাক্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দাগনভূঞা উপজেলা। এ উপজেলায় মোট শনাক্ত করা হয়েছে ৩৫৭জন। এরপরে রয়েছে সোনাগাজীতে ২৩৯জন, ছাগলনাইয়ায় ১৮৫জন, পরশুরামে ১৩০ জন ও ফুলগাজীতে ১০৬ জন। এছাড়া ফেনীর বাইরের ২৩ জন রোগী রয়েছে।

করোনা আক্রান্ত হয়েছে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে সোনাগাজী উপজেলায়। এ উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ১১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এরপরে ফেনী সদরে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মৃতদের মধ্যে দাগনভুঞায় ৮ জন, ছাগলনাইয়ায় ৫ জন ও পরশুরামে ১ জন রয়েছে।

গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সংগৃহীত মোট ৮ হাজার ৭১ জনের নমুনার মধ্যে ৭ হাজার ৯৪১টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার জনকে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করা হয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফেনীতে সুস্থতার হার ৮০ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ২ শতাংশ।

গত ১৬ এপ্রিল জেলায় ছাগলনাইয়া উপজেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়।