বেসরকারি হাসপাতাল ফেনী রয়েল ও ফেনী জেনারেল হাসপাতালের অনিয়ম আর দুর্নীতির তালিকা বেশ লম্বা। অনুমতি ছাড়া অধিক শয্যার বেড চালাচ্ছে হাসপাতালগুলো। এছাড়া নেই প্যাথলজিস্ট, নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক আর নার্স। অপারেশন থিয়েটার, পোস্ট অপারেটিভ রুম ও প্যাথলজি ল্যাবের অবস্থাও শোচনীয়। তাছাড়া ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারকে ফ্লু কর্নার বলে চালানো, চিকিৎসকদের অননুমোদিত ডিগ্রি ব্যবহার। এতসব অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার জন্য ফেনী রয়েল হাসপাতালকে ১ লাখ টাকা এবং ফেনী জেনারেল হাসপাতালকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

আজ রবিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে হাসাপাতাল দুটিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এন এম আবদুল্লাহ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সেলিম চিশতিয়া।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, রয়েল হাসপাতালে ১০ শয্যার অনুমোদন থাকলেও তারা ২৫ শয্যা চালু করেছে। তাই অতিরিক্ত শয্যাগুলো সিলগালা করা হয়েছে। এছাড়া ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ১০ বেডের অনুমোদন নিয়ে ১৩ বেড চালু করেছে। উভয় হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার, পোস্ট অপারেটিভ রুম ও প্যাথলজি ল্যাবের অবস্থাও শোচনীয়। এদের কোনটিরই নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স।

এন এম আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মেডিকেল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ৯ ধারার অপরাধে ১৩ (২) ধারায় ভিন্ন ভিন্ন অপরাধে হাসপাতাল দুইটিকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, অতিরিক্ত বেডে ভর্তিকৃত রোগীদের যতটুকু সম্ভব নিরাপদে অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।