বৃষ্টিতে সৃষ্ট প্রবল স্রোতে সোনাগাজীতে ছোট ফেনী নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সাময়িকভাবে ভাঙন রোধে স্রোতের গতি হ্রাসে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ভাঙন এলাকায় কাজ করেছেন সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন।

আজ রবিবার (১৯ জুলাই) সকালে চর মজলিশপুর ইউনিয়নের কুঠিরহাট বিষ্ণপুর এলাকায় নদী ভাঙন স্থানে বাঁশ, গাছের গুড়ি ফেলে সাময়িক বাধার কাজ সম্পন্ন করা হয়। এরপর চর দরবেশে ভাঙন কবলিত এলাকায় একই কাজ করা হয়। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান নিজে উপস্থিত থেকে কাজ পরিচালনা করেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন জানান, ছোট ফেনী নদী প্রবাহে দাগনভূঞা ও সোনাগাজীর ১৩ স্থানে ভাঙন ঝুঁকি রয়েছে। এ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিকল্পনা থাকলেও তাৎক্ষণিকভাবে জনপদ বাঁচাতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নদীর স্রোতের গতি হ্রাসে বাধা তৈরীতে কাজ চলছে। বৃহস্পতিবার এসব এলাকা পরিদর্শনে এলে জনগণ নদী ভাঙনে উৎকন্ঠার কথা জানান। তাদের দেয়া আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আজ সবাই কাজ করেছে।

চর দরবেশে নদী ভাঙনে ইতোমধ্যে দুইটি ঘর বিলীন হয়েছে। আজ কাজ শুরু হলেও সোমবার সেখানে বাধা সৃষ্টির কাজ শেষ হবে।

চর মজলরিশপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন জানান, ভাঙন কবলিত স্থানে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি কালী মন্দির মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। এরই মধ্যে সোনাগাজী-ফেনী সার্কিট হাউজ সড়কের এ স্থানে কিছু অংশ প্রবল স্রোতের কারনে ভেঙে গেছে। তাই দ্রুততর সময়ের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সবাই মিলে নদীতে বাঁশ ও গাছ গেঁড়ে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জহির উদ্দিন জানান, ভাঙন রোধে সোনাগাজী, দাগনভূঞা অঞ্চল নিয়ে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রেরণ করা হয়েছে। যা কারিগরি শাখায় যাচাই বাছাই চলছে।