পরশুরামে  আজ পর্যন্ত করোনা শনাক্তকৃত ৪৪ জনের মধ্যে ৩৩ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। আর উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। গতকাল তার নুমনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। গত ৪ জুলাই করোনা উপসর্গ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়। এটি উপজেলা করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের চারভাগের তিনভাগ রোগীই সুস্থ হয়েছেন। সুস্থতার হার ৭৫শতাংশ। সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডাঃ ইন্দ্রজিৎ ঘোষ কনক বলেন, উপজেলায় প্রথমদিকে বেশিরভাগ করোনা শনাক্তকৃত ব্যক্তির কোনধরনের উপসর্গ ছিলনা। এসব রোগীরা দ্রুতই সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন। তবে গত কয়দিন শনাক্তকৃত রোগীদের অনেকের মধ্যে বিভিন্ন উপসর্গ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রদত্ত তথ্যমতে, এ পর্যন্ত পরশুরামে ৪৪ জন রোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে পৌর এলাকায় ২১ জন। শনাক্তের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মির্জানগর ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে মোট শনাক্ত করা হয়েছে ১১ জন। এরপরে রয়েছে বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন ৮ জন ও চিথলিয়া ইউনিয়ন ৭ জন। এছাড়া পরশুরামের বাইরের ১ জন রোগী রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, আজ পর্যন্ত পরশুরামে মোট সংগৃহীত ৩৪৬টি নমুনার মধ্যে ৩৩৯টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। শনাক্তকৃতদের মধ্যে ২জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। বাকীরা স্বাস্থ্য বিভাগের তদারকিতে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল খালেক মামুন জানান, উপজেলায় করোনা আক্রান্ত ৭জন স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে ইতোমধ্যে ৬ জন সুস্থ্য হয়ে কাজে যোগদান করেছেন। এছাড়াও এক সাংবাদিকসহ তার সন্তান, মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান ও ৩ ইউপি সদস্যও সুস্থ হয়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।

গত ১৬ মে উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৪ জন সেবিকার দেহে প্রথম করোনা শনাক্তের কথা জানান স্বাস্থ্য বিভাগ।