পরশুরামে জনপ্রতিনিধি ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরও ৭জন করোনা মুক্ত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (৩০ জুন) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সুবার বাজার উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তাদের শুভ কামনা জানিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল খালেক মামুন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ইন্দ্রজিত ঘোষ কনক। এসময় দৃঢ় মনোবলের প্রশংসা করে তাদের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।


উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, সুস্থ্য হওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স নার্গিস সুলতানা, হাসপাতাল কোয়াটারের এক মিডওয়াইফের বোন, সুবার বাজার উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মিডওয়াইফ রহিমা আক্তার, মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টো, ইউপি সদস্য আবু বক্কর ছিদ্দিক মজুমদার, সাখাওয়াত হোসেন রুবেল ও মোঃ ইয়াছিনকে আজ ফুল দিয়ে বরন করা হয়। গতকয়দিনের ধারাবাহিক প্রাপ্ত ফলাফলে তাদের করোনাভাইরাস রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।


করোনাভাইরাসের কারণে রাতারাতি পাল্টে যাওয়া চেনা পরিবেশকে ফিরিয়ে আনার কঠিন লড়াইয়ের বড় ভার এখন স্বাস্থ্যকর্মীদের ঘাড়ে বলে জানান সুস্থ্য হওয়া মিডওয়াইফ রহিমা আক্তার। কাজে ফেরার অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, নতুন জীবন পেয়ে রোগাক্রান্ত মানুষের কষ্টগুলোর কথা অনুভব করে কাজে যোগদান করেছি। আবার নিজেকে মানুষের সেবায় নিয়োজিত করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।

সেবা দেওয়া রোগীদের সমস্যা গোপন করায় নিজে আক্রান্ত হয়েছে বলে মনে করেন এ স্বাস্থ্যকর্মী।

সুস্থ্য হওয়াদের আরেকজন মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টো করোনাকালের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, আমিসহ অন্য তিন ইউপি সদস্য স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়িতে আইসোলেশনে ছিলাম। আমাদের তেমন কোনধরনের উপসর্গ না থাকলেও মনোবল না হারিয়ে নিজেরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধমূলক কার্যকলাপ করেছি। একই সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চলেছি। তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত হলে আতংকিত হওয়া যাবেনা।এতে আরও বাড়তি স্বাস্থ্য ঝুঁকি হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল খালেক মামুন বলেন, সুস্থ্য ব্যক্তিদের মনোবল ও সাহস জোগাতে আমাদের এ শুভেচ্ছা বিনিময়।সুবার বাজার উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সেবাদান কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে।এখন থেকে রোগীরা নিয়মিত সেবা নিতে পারবে।

উপজেলায় করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের সুস্থ্য হয়ে কাজে ফেরার বিষয়টি দেশের অন্য স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্যও ইতিবাচক বলে মনে করেন ডা: মামুন।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৩১০টি নমুনা সংগ্রহ করে উপজেলায় ৩৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের ইতোমধ্যে ২৫ জন সুস্থ্য হয়েছে। সংগৃহীত নমুনার মধ্যে এ পর্যন্ত ২৮২ টি ফলাফল পাওয়া গেছে।

এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ তৌহিদুল ইসলাম বাবু, প্রধান অফিস সহকারী মোহাম্মদ ইসমাঈলসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।