এরশাদের শাসনামলে ‘গেদু চাচার খোলা চিঠি’ কলাম লিখে জনপ্রিয় সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক আর নেই।

তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৯ জুন) মোজাম্মেল হকের মৃত্যুর খবর শুনে এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হিসেবে মোজাম্মেল হকের অবদান স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতিও সমবেদনা জানান।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, খন্দকার মোজাম্মেল হক রাজধানীর বাড্ডার এএনজেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকালে মারা যান।

করোনাভাইরাসে উপসর্গ নিয়ে খন্দকার মোজাম্মেলের মৃত্যু হয়েছে বলে সোহেল জানান।

গত শতকের ৮০ এর দশকে সুগন্ধা নামে একটি সাপ্তহিক প্রকাশিত হত খন্দকার মোজাম্মেলের সম্পাদনায়। সেখানে ‘গেদু চাচার খোলা চিঠি’ নামে একটি কলাম লিখতেন তিনি, যাতে সরস কথায় সামরিক শাসনের সমালোচনা করা হত। ওই সময় ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল গেদু চাচার খোলা চিঠি।

ফেনী থেকে উঠে আসা খন্দকার মোজাম্মেল হক পরে সূর্যোদয় নামে আরেকটি সাপ্তাহিকও প্রকাশ করেন। এরপর আজকের সূর্যোদয়ও বের হয় তার সম্পাদনায়। তিনি ছিলেন এর প্রধান সম্পাদক।

১৯৫০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ফেনীর ছাগলনাইয়ার হরিপুর গ্রামে খোন্দকার মোজাম্মেল হক জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে জড়িত ছিলেন রাজনীতিতে। ছিলেন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের অগ্রভাগে। অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধে।

এর আগে শনিবার (২৭ জুন) রাতে মোজাম্মেল হক বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল।

খোন্দকার মোজাম্মেল হক তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে সংগঠক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগ সংবাদিক ফোরাম ঢাকার সভাপতি, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সিইও, বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।