একজন বেসরকারি চাকুরীজীবি জানালেন, পরিবারে ১০জনের ৯জনই জ্বর, সর্দি এবং কাশিতে ভুগছেন। ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদস্থ এ বিপণন কর্মকর্তা বলেন, ঈদের পূর্বে ফেনী আসার পর পরিবারের এক সদস্যের জ্বর দেখতে পাই। এরপর একে একে একজন ব্যতীত সবাই জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হই। শারীরিক এ অবস্থার মাঝে প্রত্যেকেরই ঘ্রাণেন্দ্রীয় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এর মধ্যে এক সদস্যের শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়। তিনি জানান, এখন সবাই সুস্থ।

একই চিত্র বর্ণনা করেন শহরের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ১ জুন করোনা পরীক্ষায় নমুনা দিলেও এখনো ফল জানেন না। তিনি বলেন, সিটিস্ক্যানের রিপোর্ট দেখে ডাক্তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করেছেন। পরিবারে আরও দুইজনের ইতোমধ্যে হালকা জ্বর ও মাথাব্যথা রয়েছে।

এদের প্রত্যেকেই কোভিড টেস্ট হতে বিরত থেকেছেন। তারা মনে করছেন করোনা পরীক্ষায় অত্যন্ত অপ্রতুল সেবা প্রদান করা হচ্ছে। পরীক্ষার ফলাফল পেতে যে পরিমাণ সময় লাগছে তাতে একজন ব্যক্তি আতংকগ্রস্ত হয়ে বড় রকম শারীরিক বিপর্যযের মুখোমুখি হতে পারে।

ফেনী শহরে বিএনপির এক নেতা এক সপ্তাহ ধরে জ্বরসহ একাধিক করোনা উপসর্গে ভুগছেন। তার পরিবারের প্রবাসী এক সদস্য জানান, ঘরে আরও এক সদস্য একই রকম উপসর্গে ভুগছেন। তারা নমুনা পরীক্ষা করেছেন কিনা জানতে চাইলে উক্ত প্রবাসী বলেন, দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় পরীক্ষা দিতে হলে। তাছাড়া একটি কক্ষে অনেকে অপেক্ষমান থাকে ফলে সুস্থ ব্যক্তিও সংক্রমিত হতে পারে।

তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ শুনলে মানুষে খারাপভাবে দেখে তাই ঘরে বসেই অসুস্থরা উপসর্গ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করছেন।

ফেনীতে অনলাইনে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান 'ফেনীর বাজার'র প্রধান নির্বাহী জেবল হক জানান, ঔষধের চাহিদার ৬০ভাগই সর্দি ও শ্বাসকষ্টজনিত। এন্টিহিস্টামিন ছাড়াও ইনহেলারের চাহিদা রয়েছে বাজারে।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের অসুস্থতার ধরণ প্রসঙ্গে আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, রবিবার হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা ১৭৩জনের মধ্যে ৪০জন জ্বর সর্দিজনিত অসুখের চিকিৎসা নিতে এসেছেন। শনিবার ১৮৩জনের মধ্য ৪৭জন একই সমস্যা নিয়ে আসেন।

তিনি জানান, এমন রোগীদের জন্য চলতি বছরের মার্চ মাসে ফ্লু কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে।