ফুলগাজীতে সালমা আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার বিকালে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে স্বামী নজরুল ইসলাম, শ্বাশুড়ী মায়া আক্তার, দেবর কাউসার, শাকিল এ ৪জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূর পিতা আবু তালেব।


থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।


 এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খবর পেয়ে আনন্দপুর ইউনিয়নের বন্ধুয়া হাজী স্টোর ভূঞাঁ বাড়িতে সালমা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।


নিহত গৃহবধূর স্বজনদের দাবী, যৌতুক না পেয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজাচ্ছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

সালমার বাবা আবু তালেব জানান, বিয়ের পর হতেই সালামাকে ২ লাখ যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে আসছে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।  আমরা তা দিতে না পারায় মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্নহত্যার নাটক সাজিয়েছে। ঘটনার পরপর তারা লাশ রেখে পালিয়ে গেছে। গতকালও ফ্রীজের কিস্তি পরিশোধের জন্য ১০হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে দেয়া হয়।

সালমা আক্তারের মা খুশি বেগম জানান, বিয়ের পর থেকেই তারা আমাদের পরিবারের কাছে বিভিন্ন অজুহাতে অর্থ দাবি করে আসছে। আমাদের দেবার সামর্থ্য না থাকলেও বিভিন্নজন থেকে ধার করে মেয়ের শান্তির জন্য টাকা দিয়েছে তাদের।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাত্র ৫ মাস আগে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের বৈরাগপুরের আবু তালেবের মেয়ে সালমার সাথে একই উপজেলার আনন্দপুরের ভুঞাবাড়ীর আবদুর শুক্কুরের ছেলে নজরুল ইসলাম শামীমের সাথে বিয়ে হয়েছিল।


থানার উপপরিদর্শক মোঃ আশ্রাফ জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এবং যৌতুকের টাকা না পেয়ে আত্মহত্যায় বাধ্য করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছি আমরা। ময়নাতদন্তে হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা প্রতিবেদন এলে বোঝা যাবে।