করোনা চিকিৎসা নিয়ে একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজমান। এটা চিকিৎসক বিশেষের দায় নয়- ব্যাবস্থাপনাগত সমস্যা। সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতিতে আমরা মুলত সনাক্তের সংখ্যাই জানতে পারছি- যেহেতু পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লেও পর্যাপ্ত নয় এখনো এবং উপসর্গবিহীন রোগী ও অনেক সেহেতু প্রকৃত আক্রান্তের অবস্থা নিশ্চয়ই এর চেয়ে অনেক বেশী হবে বলেই ধারণা।


বেশীর ভাগ রুগীই উপসর্গবিহীন কিংবা মৃদু উপসর্গ নিয়ে ভালো হয়ে যাচ্ছেন কিন্ত শতকরা হারে কম হলেও বিপুল জনসংখ্যা অধ্যুষিত আমাদের এই দেশে মাঝারী ধরনের উপসর্গ ও ক্রিটিক্যাল রোগীর সংখ্যাও কম হবেনা।


ইতোমধ্যে ঢাকার হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ অত্যধিক। সরকার নিরন্তর চেষ্টা করছেন অবশ্যই। ক্রিটিক্যাল রোগীর জন্য শেষ ভরসা যদিও ভেন্টিলেটর কিন্ত করোনা রোগীর ক্ষেত্রে এটি খুব আশাপ্রদ হচ্ছেনা তদুপরি এর সংখ্যাগত অপর্যাপ্ততা এবং দক্ষ জনবলের ঘাটতিও বিবেচ্য।


এক্ষেত্রে মধ্যবর্তী পন্থা হিসাবে হাই ফ্লো অক্সিজেন ও নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে বেশী সংখ্যক রোগীকে সেবা প্রদান কার্যকর প্রমাণিত। তাই শুধু ঢাকা এবং ভেণ্টিলেটর এর উপর পুরো নির্ভরশীল না থেকে দ্রুততম সময়ে স্থানীয় পর্যায়ে ও জেলায় জেলায় পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থাকরণ জরুরী।


এই প্রক্রিয়া মোটামুটি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী দিয়ে পরিচালনা সম্ভব। খুব দক্ষ জনবল না হলেও চলবে।


এছাড়াও হাসপতালগুলোকে নন কোভিড রুগীর জন্য গ্রীন জোন- নিশ্চিত কোভিড রুগীর জন্য রেড জোন এবং সন্দেহজনক রুগীর জন্য ইয়েলো জোনে ভাগ করা উচিত। ইয়েলো জোনের রুগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান ও দ্রুততম পরীক্ষার ব্যবস্থা করে ফলাফল প্রাপ্তি সাপেক্ষে পজিটিভ হলে রেড ও নেগেটিভ হলে গ্রীন জোনে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা গেলে রুগী সাধারণ ভর্তিজনিত হয়রানী থেকে অনেকটা রেহাই পেতো।


মহান আল্লাহতালা সবাইকে হেফাজত করুন।

লেখকঃ
অধ্যাপক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ
রেস্পেরেটরি মেডিসিন বিভাগ
সভাপতি, বিএমএ
ফেনী জেলা।