করোনা পরিস্থিতিতে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়ায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসে কর্মহীণ হয়ে পড়া মানুষকে মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার মাধ্যমে নগদ অর্থ প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এসময় বক্তব্যকালে কৃষকের পাশে দাঁড়ানোয় ছাত্রলীগের প্রশংসা করেন তিনি।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, সত্যিই আমি আনন্দিত এবং সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, ছাত্রলীগ আমার কথার সাথে সাথে কাজে নেমেছে। এছাড়া যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবকলীগ প্রত্যেকেই যেখানে ছিল সেখানেই কৃষকের পাশে এসেছে। আজকে সারা বাংলাদেশে কৃষকের গোলা ভরা ধান।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ছাত্রলীগকে আহবান জানালাম যে যেখানে আছো, যার যার নিজের এলাকায় কাজে নামতে হবে এবং কৃষকের পাশে দাঁড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে এ ধান থেকে ভাত হয়, ভাত খেয়ে আমরা বাঁচি। কাজেই কৃষকের কাজ করতে লজ্জার কিছু নেই। আমরা যা খেয়ে বাঁচি তাতে শ্রম দেব না এমন চিন্তা যেন না থাকে।


প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা পেয়ে উচ্ছ্বসিত ফেনী জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, ছাত্র রাজনীতিতে এটিই তাদের সেরা প্রাপ্তি।


ফেনী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এম সালাহউদ্দিন ফিরোজ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনাভাইরাস দুর্যোগে কৃষকের সহযোগিতায় ছাত্রলীগ মাঠে কাজ করছে। তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন, এতে আমরা আবেগ আপ্লুত এবং ফেনী জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। যে স্বপ্ন ছুঁতে জননেত্রী এগিয়ে চলেছেন, আমরা ফেনী জেলা ছাত্রলীগ সে পথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাবো।


জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জিয়া উদ্দিন বাবলু বলেন, আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মীর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ধন্যবাদটুকুই যথেষ্ট। ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য ও সংগ্রামের ইতিহাস অনেক বেশি সমৃদ্ধ।


তিনি আরও বলেন, দেশের যেকোন দুর্যোগে এবং দুর্দিনে নেত্রীর পাশে তথা বাংলাদেশের অসহায়-পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ায় ছাত্রলীগ। এটিই আমাদের ইতিহাস।


জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাভেদ হায়দার জর্জ বলেন, চলমান অচলাবস্থায় দিনমজুর সংকটে কৃষকের পাকা ধান রক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সারাদেশে ছাত্রলীগ নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে। ফেনী জেলা ছাত্রলীগ কৃষকের ধান তুলে দেয়া থেকে শুরু করে ত্রাণ বিতরন, সবক্ষেত্রে নিরলস কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ পেয়ে আমাদের কর্মস্পৃহা বহুগুণ বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, সৃষ্টির পর থেকে ছাত্রলীগ মাতৃভূমির জন্য কাজ করে চলেছে।

 

প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ প্রাপ্তিতে উৎফুল্লবোধ করছেন বলে জানান সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল মোতালেব চৌধুরী রবিন। তিনি বলেন, এমন প্রাপ্তিতে দেশের যেকোনো কাজে জীবন বাজি রাখতে রাজি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর যেকোনো সিদ্ধান্তে আমরা সবসময় প্রস্তুত রয়েছি।


পরশুরাম উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক জমির উদ্দিন ভাবন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের আবেগের স্থান। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অনুপ্রেরণা।


তিনি বলেন, আমরা তৃণমূল ছাত্রলীগ ইচ্ছে করলেই বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছে যাওয়ার সুযোগ কম। তবে জননেত্রী হতে এমন প্রাপ্তি আমাদের মানসিক শক্তি বাড়ায়, কাজে গতি আনে।