গত কয়েকদিন ধরেই স্যোশাল মিডিয়ায় ছবিগুলো ঘুরছে অবিরত। কৃষক চাইলেই ধানগুলো কেটে ফেলতে পারতেন, কিন্তু মানবিক কারণে পাখির বাসার অংশের ধান না কেটে এভাবেই রেখে গেছেন। তার মমত্ববোধ ও মহানুভবতায় ভাসছে নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরলেও সেই চাষি মানুষটির পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। আড়ালেই রয়ে গেছেন ওই ব্যক্তি। তবে তার প্রশংসায় কয়দিন ধরে ভাসছে নেট দুনিয়া। তবে জানা গেছে, ছবিগুলো কিশোরগঞ্জের কোন এক মাঠ থেকে তোলা হয়েছে। আর তা স্যোশাল মিডিয়ায় এসেছে ৬ মে।


ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, ধানের খেত থেকে সমস্ত ফসল তোলা হয়ে গেলেও কিছুটা জায়গায় রয়ে গিয়েছে ধানগাছ। কেন? কারণ ওই জায়গাটিতে বাসা বানিয়েছে পাখি। আর সেই বাসাতে বেশ কয়েকটি ডিম রয়েছে। সেই ডিমগুলি যাতে নষ্ট না হয়ে যায়, যাতে পৃথিবীতে আসতে পারে নতুন প্রাণ, সেই কারণেই কৃষক সেই অংশটুকুর ধান কাটেননি। মাঠে যেমন ছিল তেমন রেখে গেছেন।


করোনাময় দিন-দুনিয়া। গোটা বিশ্বে এক এবং একমাত্র আলোচনার বিষয় এই মরণ ভাইরাস। বাস্তবেই হতাশাময় হয়ে উঠছে মানুষের জীবন। তবু তারই মধ্যে এমন কিছু ঘটনা, ছবি সামনে এসে পড়ে, তাতে মন ভালো হতে বাধ্য। ছবিগুলো তেমনই ।


ছবিটি দেখে নেটিজেনরা প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন সেই মানুষটিকে। এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'কৃষক চাইলেই ধানগুলো কেটে ফেলতে পারতেন, কিন্তু মানবিক কারণে পাখির বাসার অংশের ধান না কেটে এভাবেই রেখে গিয়েছেন। অন্য প্রাণীর উপর আধিপত্য বিস্তার আমাদের শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি নয়। এক শ্রেণীর মানুষ প্রকৃতির জন্য ভালোবাসা দেখিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করেন। প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় থাকুক।'


অপর একজন লিখেছেন, 'পৃথিবীতে এখনও এমন মানুষ আছেন দেখে ভালো লাগছে। এই হিংসার পৃথিবীতে জীবজন্তুরা নিরাপদ নয়। তবে কিছু মানুষ এখনও মানুষই আছেন। তাঁরাই পশুপাখিদের রক্ষা করেন।'


মনোয়ার হোসেন নামে আরেকজন ছবিগুলো শেয়ার করে লিখেছেন, ঘটনাটি আপাত চোখে সামান্য হলেও এর তাৎপর্য অসীম।পশু-পাখির প্রতি মানুষের ভালবাসা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের ভিতরে পরিবর্তন আসছে। এই পরিবর্তন বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ুক। পৃথিবীটা সুন্দর হোক সবার জন্য। পাখিদেরও অধিকার হোক।