৯ নভেম্বর, ২০১৯

।। নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
ফেনী উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলে’র প্রভাবে স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে উঁচুতে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়ার সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী এ উপকূলে ৯ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।


সকাল থেকে জেলায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবু হেনা জানান, ফেনী উপকূলে সন্ধ্যার পর বুলবুল আঘাত হানতে পারে।


শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অজিত দেব জানান, ফেনীর সোনাগাজী উপকূলীয় অঞ্চলে মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরী চিকিৎসার জন্য ৭৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে মাইকিং চলছে।


তিনি আরও জানান, উপজেলার চরচান্দিয়া, চরদরবেশ, সদর ইউনিয়নের ২০টি আশ্রয় কেন্দ্রে উপকূলীয় মানুষ ও গবাদিপশু আসতে শুরু করেছে। আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতদের জন্য পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ফেনী জেলা প্রশাসন। দূর্যোগকালীন উদ্ধার তৎপরতাসহ বিভিন্ন কাজের জন্য ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর আওতায় দেড়হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ ২ হাজার কর্মী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।


শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় প্রস্তুতি বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ ওয়াহিদুজজামান জানান, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সকল সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং কর্মস্থলে থাকতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিপন্ন মানুষের জন্য ৫ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৬’শ মেট্রিক টন গম, চিড়া, মুড়ি গুড়সহ বিশুদ্ধ পানির মজুদ রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় খাবার স্যালাইনসহ প্রাথমিক ঔষধ মজুদ রয়েছে।


তিনি আরও জানান, আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লোকজনের বাড়ির মালামাল নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত পুলিশের পাশাপাশি রেড ক্রিসেন্ট, স্বেচ্ছাসেবক, সিপিপি, রোভার, আনসার, ভিডিপির সদস্যরা দূর্যোগ কবলিত এলাকার মানুষের পাশে নিয়োজিত থাকবে ।