'বাঁচতে হলে সচেতন হতে হবে, ঘরে থেকে প্রশাসনকে সহায়তা করতে হবে। জনসাধারণকে বুঝতে হবে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।'


আজ বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকালে ফেনীতে টিসিবি পণ্য বিক্রয়স্থল পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন চৌধুরী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা যেকোনো মূল্যে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতে কাজ করছি। কিন্তু মানুষ যদি নিজের নিরাপত্তা বুঝতে না চায় তবে তা হয়ে যাবে চ্যালেঞ্জিং।


তিনি বলেন, যেকোনো বাজারে উপচে পড়া ভীড় কিংবা জনসমাগম কোভিড-১৯ বিস্তারে সবচেয়ে সহজ উপায়। এটি কতটা সাংঘাতিক ছোঁয়াচে তা সবাই এতদিনে জেনে গেছে।


সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে টিসিবির পণ্য ক্রয়-বিক্রয় প্রসঙ্গে সুজন চৌধুরী বলেন, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে ক্রেতাদের নির্দিষ্ট দুরত্বে অপেক্ষমান থাকতে। কিন্তু যতক্ষণ আমরা থাকি ততক্ষণ দুরে থাকছে। আমরা সরে গেলেই আবার মানুষজন ধাক্কাধাক্কি করছে।


সকালে ষষ্ঠ ধাপের শেষদিনে শহরের মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে ও শহীদ মিনারের সামনে ভোগ্যপণ্য বিক্রয় করছে অনুমোদিত ডিলার মেসার্স মনসুর ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও বাবু ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। ভোগ্যপণ্যের মধ্যে রয়েছে ছোলা বুট, মশুর ডাল, তেল ও চিনি।


সুজন চৌধুরী বলেন, সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতে শহীদ মিনার এলাকায় দায়িত্ব পালন করছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামরুজ্জামান, মহিপাল দায়িত্ব পালন করছে এম এম আবদুল্লাহ আল মামুন। উভয় স্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও রয়েছে তবু মানুষের অসচেতনতা স্পষ্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে।


ডিলার হুমায়ুন কবির বলেন, আইন-শৃংখলা বাহিনী থাকলেও মানুষজন ভয় পায় না। আমরা দুরত্বে দাঁড়াতে বাধ্য করলেও কিছুক্ষণ পর আবার সবাই গা ঘেঁষে দাঁড়াচ্ছে।


ক্রেতা রিয়াদ হোসেন বলেন, কেউ নিয়ম মানছে না। কে কার আগে নিবে তা নিয়ে ব্যস্ত সবাই। করোনার বিষয়ে জানি কিন্তু আমি একা দুরে দাঁড়ালে অন্য একজন সামনে দাঁড়িয়ে যাবে।