ঢাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত ভেবে ফেনীতে এক মৃত মহিলার লাশ দাফনে বাধা দিয়েছে স্থানীয় জনগন। মৃতের ভাই জানান, হাজেরা বেগম (৬০) কিডনী সংক্রান্ত জটিলতায় মৃত্যুবরণ করেন। সোমবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরীন সুলতানা জানান, পরবর্তীতে রাতে সদরের সুলতানপুর পৌর কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।


ইউএনও জানান, কিডনি জনিত সমস্যা নিয়ে এক নারী ঢাকা কল্যাণপুর এলাকায় জাতীয় কিডনী ও ডায়ালাইসিস ইনস্টিটিউটে মৃত্যুবরণ করেন।পরে রাতে স্বজনরা গ্রামের বাড়ীতে তার মৃতদেহ নিয়ে আসলে স্থানীয়রা খবর পেয়ে তাদের বাধা দেয়। একপর্যায় তারা মৃতদেহ বহনকারী এ্যাম্বুলেন্সে ভাংচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, করোনা ভেবে মৃতদেহ দাফনে বাধা দেয়া হচ্ছিলো।


স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম জানান, মৃত মহিলার পৈত্রিক বাড়ি দক্ষিণ আবুপুর মোল্লাবাড়ি। তারা অনেক বছর পূর্বে ঢাকা চলে গেছে। স্থানীয় জনগন করোনা আক্রান্ত ভেবে এবং পৈত্রিক এলাকায় মাটি দেয়ার প্রয়োজন নেই বলে বাধা দেয়।


মৃতের ভাই কামাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে বাড়িতে লাশ নিয়ে আসি। আবুপুর আাসার পর হাজার খানেক মানুষ আমাদের গাড়ি অবরোধ করে ভাংচুর করে এবং লাশ দাফন করতে দিবে না বলে জানায়।


তিনি বলেন, আমার বোনের করোনা সংক্রমণ ছিল না।কয়েকজন মানুষ আমাদের জায়গা জমি দখল করে রেখেছে, তারা ষড়যন্ত্র করেছে।


দক্ষিণ আবুপুর মোল্লাবাড়ীর সম্রাট জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন শুনে মানুষ খুব ভয় পেয়েছে। এছাড়াও তারা ত্রিশ বছর পূর্বে বাড়ি ছেড়ে বান্দেরজলা গ্রামে চলে গেছে। এটি তার বাবার বাড়ি। নিয়মমতে তার দাফন হবে শশুর বাড়িতে। জমির বিরোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ কারণে মানুষ লাশ দাফনে বাধা দেয়ার কথা আমার জানা নেই।