ছাগলনাইয়ার ১৬টি বাড়িতে উড়ছে লাল পতাকা। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে এসব বাড়িতে উপজেলা প্রশাসন লাল পতাকা লাগিয়েছে। এর মাধ্যমে বাড়ি চিহ্নিত করার পাশাপাশি সকলকে সতর্কভাবে চলাচলের নির্দেশনা দিয়েছে ‘ উপজেলা করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটি। এ নিয়ে আজ শুক্রবার (১০ এপ্রিল) একটি গনবিজ্ঞপ্তি জারি করে উপজেলা প্রশাসন।


শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউনএও) সাজিয়া তাহের জানান, করোনা সংক্রমিত জেলাসমূহ হতে সম্প্রতি কিছু লোক এসে ছাগলনাইয়া উপজেলার কয়েকটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। করোনা প্রতিরোধ কমিটি সেই বাড়িগুলো চিহ্নিত করে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ওই ১৬টি বাড়ির বাসিন্দাদের ১৪ দিনের সার্বক্ষণিক হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


ইউএনও বলেন, এসব বাড়ি এবং আশপাশের মানুষকে সচেতন করতে উপজেলা প্রশাসন ওইসব বাড়িতে লাল পতাকা উত্তোলনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যরা গিয়ে সেসব স্থানে লাল পতাকা লাগিয়েছেন।


এসময় জনগণকে আতংকিত না হয়ে জারিকৃত সরকারি নির্দেশনা মেনে নিজ নিজ ঘরে থাকার অনুরোধ করে সাজিয়া তাহের বলেন, ওইসব বাড়িতে যিনি অন্য জেলা হতে এসেছেন তাকে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট কক্ষে থাকতে হবে। তিনি কোনভাবেই সেখান থেকে বের হতে পারবে না। উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষনিক তা তদারকি করবে। এজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


ইউএনও বলেন, এই আদেশ পরবর্তীতে যারা সংক্রমিত জেলা হতে উপজেলায় আসবেন, তাদের জন্যও প্রযোজ্য হবে। এটি ওয়ার্ড কমিটি মনিটরিং করবেন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন।


বাড়িগুলো হচ্ছে, রাধানগর ইউনিয়নের মোকামিয়ার আনোয়ার মাষ্টার বাড়ি, লোকমান মিয়ারবাড়ি, সুলতান ড্রাইভারের বাড়ি, একই ইউনিয়নের পূর্ব কাশিপুরের মুন্সি বাড়ি, নিজ পানুয়ার তিতা কাজী বাড়ি ও মফিজ বাবুর্চির বাড়ি, মহামায়া ইউনিয়নের জয়নগরের ফলোয়ান বাড়ি, জগধার সুফি বাড়ি, পাঠাননগর ইউনিয়নের মধ্যম শিলুয়ার শীল বাড়ি, পৌরসভার পূর্ব ছাগলনাইয়ার আবদুল লতিফ হাবিলদার বাড়ি, কালাগাজী মজুমদার বাড়ি, লিটনের বাড়ি ৫নং ওয়ার্ডেও ইদ্রিছ মিস্ত্রি বাড়ি, ৮নং ওয়ার্ডের জসিমের বাড়ির, উত্তর মটুয়ার এছাক মিয়ার বাড়ি।


ইউএনও বলেন, আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ অনুযায়ী কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।