করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে ফেনীতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছে ফেনী মডেল থানার পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যুবকেরা। শহরের জনাসমাগমপূর্ণ স্থানে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে যুবকরা শুক্রবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় ঔষধ দোকান, কাঁচাবাজার, শপিংমলের সামনে সাদা রং দিয়ে বর্গাকার চিহ্ন এঁকে দূরুত্ব চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে। এতে অংশ নেয় স্বেচ্ছাসেবী আমের মক্কী, আমির সহ ১০/১৫ জন যুবক।


যুবকদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে জেলা পুলিশ বিভাগ। সন্ধ্যায় শহরের ট্রাংক রোড়, মুক্তবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় যুবকদের সচেতনতামূলক এ কাজে অংশগ্রহণ নেয় ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেনসহ জেলা পুলিশের সদস্যরা।


পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী জানান, সচেতনামূলক এ কাজ শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দিতে পুলিশের সহায়তা থাকবে। এ কাজে জনগণকেও সহযোগিতা করতে হবে। সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।


এ কার্যক্রমের অংশ নেয়া আমের মক্কী জানায়, প্রতিটি স্থানে লোকজনকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। তবুও ওষুধ, কাঁচা বাজার কিনতে বা জরুরি প্রয়োজনে বের হতে হচ্ছে অনেককে। এসব মানুষের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে পুলিশ সদস্যরা।


ফেনী মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন এসময় বলেন, যুবকদের এমন উদ্যোককে আমরা সাধুবাদ জানাই। তিনি বলেন, এ কাজে যুবকদের আর্থিক সহায়তাও করতে চাই আমরা।


শহরের মুক্তবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতারা চিহ্নিত স্থানে নির্দিষ্ট দূরুত্বে দাঁড়াচ্ছেন। সামনের ব্যক্তিটি কেনাকাটা শেষ করলে তিনি স্থান ত্যাগ করছেন। ততক্ষণ পেছনের ব্যক্তিটি তিন ফুট পেছনে চিহ্নিত স্থানে অপেক্ষা করছেন। সামনের জন স্থান ত্যাগ করলেই কেবল পেছনের জন এগিয়ে গিয়ে কেনাকাটা শুরু করতে পারছেন। ফলে ঘর থেকে বের হওয়া লোকজন একে অন্যের সংস্পর্শে আসছেন না। তাদের মধ্যে সামাজিক দূরুত্ব বজায় থাকছে।


এ কার্যক্রমকে আরও প্রসারিত করা হবে বলে ফেনী মডেল থানানর পরিদর্শক (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, লোকজনের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে শহরের ট্রাংক রোড়, বড় বাজার, মহিপাল বাজার, পৌর হকার্স মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় ওষুধ এবং মুদি দোকানের সামনে তিন ফুট দূরে দূরে এ চিহ্ন এঁকে দেয়া হবে ক্রমান্বয়ে।


তিনি জানান, সামাজিক দূরুত্ব মেনে কেনাকাটা করতে স্থানীয়দের আমরা উদ্বুদ্ধ করব। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে সচেতন করব।