ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ধর্ষককে চিহ্নিত ও পরে গ্রেফতার করেছে সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা। তার নাম মোঃ ইউসুফ ওরফে নয়ন (৩০)। সে সোনাগাজী বগাদানা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম পলাশ জানান, গত বছরের নভেম্বর মাসে সোনাগাজীতে এক কিশোরী আত্মহত্যা করলে তার অভিভাবক থানায় অপমৃত্যুর মামলা করে। কিন্তু ময়নাতদন্তে ওই কিশোরীর গর্ভে থাকা পাঁচ মাসের সন্তানের অস্তিত্ত্ব পাওয়া যায়। তথ্যবিহীন এ মামলায় সন্দেহশতঃ নয়নের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এ বছরের ২৯ জুন প্রাপ্ত ডিএনএ প্রতিবেদনে শনাক্ত হয়, উক্ত কিশোরীর গর্ভে সন্তান নয়নের।
সাজেদুল ইসলাম জানান, ৩০ জুন তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ খানের আদালতে সে নিজেকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
ওসি জানান, ধর্ষিতা মঙ্গলকান্দি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল। ধর্ষক নয়ন তাদের পাশের বাড়ির এক ব্যক্তির সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতো। আসা যাওয়ার মধ্যদিয়ে মেয়েটির সাথে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং পাশ্ববর্তী একটি বাড়িতে সন্ধ্যার পর একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে ওই কিশোরী অন্ত:স্বত্ত্বা হয়ে পড়ে। ইউসুফকে বিয়ে করার জন্য বললে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।
২০২০ সালের ২৮ নভেম্বর দুপুরে উক্ত কিশোরী নিজ ঘরে আত্মহত্যা করে।