করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছেন পরশুরামের পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল। উপজেলায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন পৌর মেয়র। তার উদ্যোগের প্রশংসা করছেন স্থানীয়রা।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরশুরামে যাতে করোনা ভাইরাস ছড়াতে না পারে সে ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা প্রদান করেছেন মেয়র সাজেল। ইতোমধ্যে তিনি জনগণের স্বাস্থ্য সচেতনতায় ৪০ হাজার মাস্ক, ৫ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং ৫ হাজার লাইফবয় সাবান প্রদানের ঘোষনা দিয়েছেন।


সূত্র আরো জানায়, গণজমায়েত না করে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত স্বাস্থ্য সামগ্রী ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেছেন তিনি। উপজেলা ছাত্রলীগ এবং কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় তা পৌর এলাকার মানুষের ঘরে পৌঁছে দেবার কার্যক্রম চলছে ।


নিজের সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানালেন নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল। তিনি বলেন, আমি সবসময় মানুষের কল্যাণে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে আসছি। আমি প্রচারে বিশ্বাসী নই। ধর্মীয় রীতি অনুসারে এসবের প্রচারের কোন আমার ইচ্ছে নেই। আমি চাই পৌরবাসীর সেবা করে যেতে। যেকোন সমস্যায় পরশুরামের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।


স্থানীয় বাসিন্দা সাহেদ বলেন, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস চিহ্নিত হওয়ার আগে থেকেই মেয়র সচেতনতার জন্য মাইকিং করে প্রচারণা চালাচ্ছে। এতে জনগণকে আতংক না হয়ে সচেতন হওয়ার অনুরোধ করে তিনি।


পরশুরাম ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আবু তালেব মজুমদার বলেন, বাজারের ব্যবসায়ীদের পৌরসভায় ডেকে নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছেন মেয়র। এতে তিনি মূল্য তালিকা প্রদর্শনসহ দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে আমরা পৌরসভার সাথে যৌথ সমন্বয় করে বাজার তদারকি করছি।


পৌরসভার প্যানেল মেয়র রাসুল আহম্মদ মজুমদার স্বপন বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে পৌর মেয়রের নেতৃত্বে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে পৌর এলাকার প্রবাস ফেরত নাগরিকদের তালিকা সংগ্রহ করেছি এবং তাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে তদারকি করছি।


উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক জমির উদ্দিন ভাবন বলেন, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা সাজেল ভাইয়ের নেতৃত্বে একটি র‌্যালী করেছি।


তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে মেয়র যেসব কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন এতে আমরা উপজেলা ছাত্রলীগ সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। এ ধরনের কার্যক্রম করোনা সচেতনা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।