ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সহায়সম্বলহীন বিধবা ছায়েরা বেগম (৬০) মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। তিনি ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের পুর্ব দেবপুর মালেক হাজী বাড়ীর মৃত সাহাব মিয়ার স্ত্রী। গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে তার বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, বিধবা ছায়েরা বেগমের স্বামী সাহাব মিয়া মৃত্যুর আগে নিজ হাতে ঘরটি নির্মান করে যান। স্বামীর মৃত্যুর পর স্বজনদের সহযোগিতায় এতিম দুই কন্যা সন্তান বড় করেন এবং বিয়ে দেন। দুই কন্যার বিয়ের পর থেকে ছায়েরা বেগম স্বামীর ঘরভিটে একাই বসবাস করে আসছেন। ছেলে সন্তান না থাকায় বাড়ীর লোকজন ও আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় দুঃখকষ্টে চলছিলো তার সংসার। গত মঙ্গলবার রাতে ছায়েরা বেগম পাশের বাড়ীর স্বজনদের সাথে দেখা করতে যাওয়ার পর তার ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ছায়েরা বেগমের ঘর ও ঘরের সব আসবাবপত্র। এতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে চরম অসহায় হয়ে পড়েছেন তিনি।

ভুক্তভোগী ছায়েরা বেগম জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর এতিম দুই মেয়েকে অনেক কষ্ট মানুষ করেছি। সকলের সাহায্য সহযোগিতায় তাদের বিয়ে দিয়েছি। পুত্র সন্তান না থাকায় এখন আমি স্বামীর ভিটেমাটিতে একাই বসবাস করি। তিনি জানান, স্বামীর রেখে যাওয়ার বসতঘর ভিটে ছাড়া আমার আর কোন সহায়সম্বল নেই। আগুনে আমার ঘরটি পুড়ে যাওয়ায় এখন আমার সহায়সম্বল বলতে আর কিছুই রইলনা। মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় এক আত্মীয়ের আশ্রয়ে এখন আমার দিন কাটছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘর মেরামতের বিষয়ে ছায়েরা বেগম জানান, সরকারি ভাবে কিংবা সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা যদি আমাকে নতুন একটি ঘর নির্মাণ করে দেয় তবে আমি স্বামীর ভিটেমাটিতে বাকি জীবনটা কাটাতে পারব। ছায়েরা বেগম জানান যদি কোন হৃদয়বান ব্যক্তি আমার পুনর্বাসনে আর্থিক সহযোগিতা করতে চায় তবে উল্লিখিত আমার মোবাইল নম্বরে (০১৮৭৪৬৫৭২৩০ নগদ) সহযোগিতা পাঠালে আমি পাবো।