গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ছাগলনাইয়া থানায় অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাটের পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় ৮-১০ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার দিন বিকেল ৪টার দিকে সংঘবদ্ধ উশৃঙ্খল জনতা প্রথমে ছাগলনাইয়া থানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। একই সময় থানায় সংরক্ষিত ২৩ অস্ত্রসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ও মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ২৩টি অস্ত্রের মধ্যে ১৮টি থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। একই দিন থানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলার সকল নথিপত্র, ওয়ারেন্ট, কম্পিউটার, পুলিশের ৪টি গাড়ী, থানা কমপ্লেক্সে রক্ষিত ৪৭টি মোটরসাইকেলসহ সকল আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে ভস্মীভূত হয় থানার প্রশাসনিক ভবন, পুলিশ ব্যারাক, ওসির বাসভবনসহ সকল স্থাপনা। এ ঘটনায় ছাগলনাইয়া থানার অন্তত ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসান ইমাম। ঘটনার দিন থানার ওসি হাসান ইমামসহ মোট পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসি মোঃ হাসান ইমাম জানান, ৫ আগস্ট বিকেল আমরা ডিউটিরত পুলিশ সদস্যরা থানা কমপ্লেক্সে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ সংঘবদ্ধ উশৃঙ্খল জনতা থানায় এসে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করে এবং পুলিশের উপর হামলা করে। তাদের দেওয়া আগুনে থানার সকল আলামত পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘটনার সময় কেউ পুলিশের সহায়তায় এগিয়ে আসেনি উল্লেখ করে তিনি জানান, তাদের হামলায় আমরা অসহায় হয়ে পড়ি। পরবর্তীতে থানার অস্ত্রসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে ৩টি পিস্তল ও ২টি শটগান ছাড়া বাকি ১৮টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে উল্লেখ করে ওসি হাসান ইমাম জানান, ওইদিনের হামলা, ভাঙচুরের সকল তথ্য উপাত্ত, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হওয়ায় সকল ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।