ছাগলনাইয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাইয়ে ভুয়া সাক্ষ্য দেবার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তিন দিনব্যাপী যাচাই বাছাইয়ের প্রথম দিনেই এ অভিযোগ করেছেন একাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা।
পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম মাস্টার অভিযোগ করেন, তালিকায় অন্তর্ভূক্ত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ে প্রত্যেকের পক্ষে তিনজন করে লাল মুক্তিবার্তায় তালিকাভূক্ত সহযোদ্ধা উপস্থিত থেকে সাক্ষী দেন। প্রথম দিনেই যে সকল মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকায় ছিলো তাদের পক্ষে টাকার বিনিময়ে অনেকেই মিথ্যা স্বাক্ষী দিয়েছেন। এটিকে কেন্দ্র করে মিথ্যা স্বাক্ষী দিয়ে লাখ লাখ টাকা আদায় করেছে সাক্ষীরা।
সভায় এর প্রতিবাদ জানান উপস্থিত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে কিছু সংখ্যক ব্যক্তিও মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে টাকার বিনিময়ে মিথ্যা স্বাক্ষী দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
সভা চলাকালীন সময়ে এ নিয়ে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির চার সদস্য ও তাদের পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করতে আসা সাক্ষীদের প্রশ্ন করলে অনেকে এর ব্যাখা দিতে পারেন নি।
বাছাই পর্বের প্রথম দিন ছাগলনাইয়া পৌর এলাকার ৯জন এবং পাঠাননগর ইউনিয়নের ১৩জনের পক্ষে তিনজন করে মুক্তিযোদ্ধা সাক্ষ্য দেন।
সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধ যাচাই বাছাই কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া তাহের, সভাপতি (জামুকা প্রতিনিধি) বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আউয়াল, সদস্য (স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি) বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই মেম্বার ও সদস্য (জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি) বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেনসহ উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর মিয়া।
টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধারা মিথ্যা স্বাক্ষী দিয়েছে এমন অভিযোগ সত্য কিনা জানতে চাইলে সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই মেম্বার বলেন, এমন অভিযোগ শুনেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক ফেনীকে জানান, এমন অভিযোগ অনেক আগ থেকে শুনেছি। সত্যতা প্রমাণিত হলে সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দেয়ার অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তালিকাভূক্ত ৯৭ জন মুক্তিযোদ্ধাদের মাধ্যে যাচাই বাছাইয়ের দ্বিতীয় দিন আজ রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঘোপাল ইউনিয়নের ২৫ জন ও রাধানগর ইউনিয়নের ২৪ জন এবং পরদিন সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) শুভপুর ইউনিয়নের ২০জন ও মহামায়া ইউনিয়নের ৬ জনের যাচাই বাছাই করা হবে।