করোনাভাইরাসের কারণে এবছর কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হবে না পঞ্চম শ্রেণীর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা পিইসি।
এর পরিবর্তে নিজ নিজ স্কুলে মূল্যায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা এবং ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ না করার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন। অতএব আমরা পিইসি পরীক্ষা নিচ্ছি না।"
তবে সমাপনী পরীক্ষা না হলেও বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়।
এর আগে গত ১৯শে আগস্ট কেন্দ্রীয়ভাবে পিইসি ও এবতেদায়ী পরীক্ষা না নেয়ার প্রস্তাব করেছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল।
সেই প্রস্তাবে পিইসি পরীক্ষা নিজ নিজ বিদ্যালয়ে নেয়ার প্রস্তাবনাও দেয়া হয়েছিল।
সেই প্রস্তাবনাতেই আজ অনুমোদন দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে পিইসি নেয়া সম্ভব হবে না বলে এ সম্পর্কিত মেধাবৃত্তিও এ বছর দেয়া হবে না। তবে উপবৃত্তি আগের মতোই চালু থাকবে।
স্কুল খোলার বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, এর আগে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসকে সামনে রেখে তিনটি আলাদা পাঠ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল।
কিন্তু এখনো যেহেতু স্কুল খোলার পরিবেশ তৈরি হয়নি তাই সেপ্টেম্বরে স্কুল খোলার সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানান তিনি।
তবে এ সম্পর্কিত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবারের মধ্যে আসবে বলে জানান সচিব।
তিনি বলেন, এখন অক্টোবর ও নভেম্বরকে সামনে রেখে পাঠ পরিকল্পনাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বৈঠকে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সেক্ষেত্রে স্কুল খুললে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিদ্যালয় প্রশ্ন তৈরি করে পরীক্ষা নেবে।
কী উপায়ে পরীক্ষা নেয়া হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সিনিয়র সচিব বলেন, পরীক্ষা পদ্ধতি কেমন হবে সে সিদ্ধান্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা গ্রহণ করবেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক সিনিয়র সচিব বলেন, স্কুল খুলতে হলে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে তার জন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। সেটি অনুসরণ করে স্কুল খুলতে হবে।
তিনি বলেন, "স্কুলগুলোকে বলা হয়েছে তাদের নিজের মতো করে স্কুল খোলার পরিকল্পনা করতে"।
এক্ষেত্রে স্কুলের অবকাঠামো এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় নেয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে জানানো হয়।
বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন কেমন হবে সেটি স্কুলগুলো নির্ধারণ করবে।
এবছর দেশে ২৯ লাখের বেশি প্রাথমিক ও এবতেদায়ী পরীক্ষার্থীর অংশ নেয়ার কথা।