জীবন শংকায় পরশুরাম উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ফুলগাজী উপজেলার শ্রী চন্দ্রপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন তাকে প্রাণনাশ ও চোখ তুলে ফেলার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেছেন তিনি। আজ শনিবার (২১ মার্চ) পরশুরাম থানায় এ লিখিত অভিযোগটি দায়ের করা হয়।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ পত্র হতে জানা যায়, বিগত বছরের জুন মাসের ১৯ তারিখ উপজেলার পশ্চিম সাহেবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের। সে সময় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন ইকবাল হোসেন। পরিদর্শনকালে তাকে অনুপস্থিত পেয়ে এবং বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়মের কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষা উপ-পরিচালক বরাবরে প্রেরণ করেন। পত্রের প্রেক্ষিতে একই বছরের ২৭ নভেম্বর বিভাগীয় অফিস হতে তদন্ত করা হয়। তদন্তে ইকবাল হোসেনের দোষ প্রমাণিত হওয়ায় চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারী ফুলগাজী উপজেলার শ্রীচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়। তাকে গত ৩ মার্চ উপজেলা শিক্ষা অফিস হতে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়। ওইদিন অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন মিজানুর রহমানকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং দেখে নেবে বলে হুমকি প্রদান করে।
অভিযোগ পত্রে মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ইকবাল হোসেন পরশুরাম উপজেলা শিক্ষা অফিসে এসে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। যার ফলে তাকে শিক্ষা অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়। একই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাজারে এলে আমাকে একা পেয়ে চোখ উঠিয়ে ফেলাসহ পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি প্রদান করে এবং মারমুখী আচরণ করে। পরে বাজারের উপস্থিত লোকজন আমাকে রক্ষা করে।
মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ইকবাল হোসেনের এমন আচরণে আমি জীবন নিয়ে শঙ্কিত। তিনি বলেন, আমি ওই বছর ফুলগাজী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসারের দায়িত্বে ছিলাম। ইকবাল হোসেন মনে করছেন তার শাস্তিমূলক বদলীর পেছনে আমার ভূমিকা আছে। প্রকৃত পক্ষে এটাতে আমার কোন ভূমিকা নেই এটি বিভাগীয় সিদ্ধান্ত।
পরশুরাম থানার পরিদর্শক (ওসি) শওকত হোসেন অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে থানা থেকে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেনকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।