জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী ফেনীর ৬টি উপজেলার মধ্যে পরশুরাম ছাড়া আর সব কয়টি উপজেলায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত ১৫ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত করা হয়েছে ফেনী সদর উপজেলায় ৬জন, যারা প্রত্যেকে স্বাস্থ্যকর্মী।


এরপরে রয়েছে দাগনভূঞায় ৪জন, সোনাগাজীতে ২জন, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়ায় ১জন। এছাড়া ফেনীতে আক্রান্ত মিরসরাইয়ের এক কিশোরীকে চট্টগ্রাম পাঠানো হয়েছে বলে সিভিল সার্জন ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন।


গত ১৬ এপ্রিল হতে ৬ মে পর্যন্ত জেলার চার উপজেলায় মোট ৭জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। রবিবার (১০ মে) একইদিনে সে রেকর্ড ভেঙ্গে শনাক্ত হয় ৮জন। এছাড়া এ পর্যন্ত তিনজন সুস্থ হয়েছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। এদের মধ্যে প্রথম করোনা শনাক্ত দুই যুবকসহ এক সরকারি কর্মকর্তার রয়েছেন। তৃতীয় দফায় তাদের সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসায় তাদের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।


বুধবার (৬ মে) ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত এক রোগী কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হওয়ায় তার চিকিৎসায় হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তারসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনার ঝুঁকিতে পড়েছে। আজ ৭ জন স্বাস্থ্যকর্মীর শণাক্ত হওয়ায়, সে শংকা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। গতকাল শনাক্তকৃত ৮জনের মধ্যে ৭জন স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত। যদিও সিভিল সার্জন অফিস আনুষ্ঠানিকভাবে এ ধরনের তথ্য দেয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছে।


একই সূত্র জানায়, গতকাল সিভিল সার্জনসহ একাধিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা-চিকিৎসক-কর্মচারির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।


জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ প্রদত্ত তথ্যমতে, আজ সোমবার (১১ মে) পর্যন্ত ফেনীতে কোভিড-২৯ সংক্রমণ নিরুপণে ৭শ ৭০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪শ ৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ১৫টির ফলাফল পজিটিভ এসেছে।


পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবদুল খালেক মামুন বলেন, এ পর্যন্ত উপজেলায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিরুপণে ৪৬জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে পাওয়া ২১টি নমুনার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।