ফেনীর সদরের শর্শদীতে সাংবাদিক হাবিব মিয়াজির ঘরে আগুন দেবার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার ( ৩ জুলাই) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী।
গ্রেফতারকৃতরা হল দক্ষিণ আবুপুরের রুহুল আমিন মাস্টার ছেলে আশরাফ আলী রুমন, জিয়াউল হকের ছেলে আবুল কাশেম ফোরকান ও মনির আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম বাবলু।
আজ শনিবার ( ৪ জুলাই) সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাদের গ্রেফতার করার কথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে খোন্দকার নূরুন্নবী বলেন, আমরা তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িত থাকায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি ওই এলাকার বায়তুল আমান নামে জামে মসজিদের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আজকে তাদের আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। সেক্ষেত্রে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।
পুলিশ সুপার বলেন, আশরাফ আলী রুমন ছিলেন এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। আর জহিরুল ইসলাম বাবুল পেট্রোল সরবরাহ করেছিলেন। অপরজন আবুল কাশেম ফোরকান পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। তারা তিনজনই একটি মোটর সাইকেলে করে এসেছিল। সেটিও জব্দ করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ২ জন বিভিন্ন মসজিদের পেশ ইমাম বলে এসপি জানান।
জানা যায়, শর্শদির বায়তুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি ছিলেন খোরশেদ আলম। তাঁর মৃত্যুর পর কমিটির সভাপতি হন তাঁর ছেলে হাবিব মিয়াজি। সম্প্রতি মসজিদে ইমাম নিয়োগের বিষয়ে কমিটির অপরাপর সদস্যদের সাথে হাবিব মিয়াজির দ্বন্দ্ব হয় । এরই জেরে গত ২২ জুন মধ্যরাতে হাবিব মিয়াজির ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। এ সময় নিচতলায় থাকা একটি মোটরসাইকেল পুড়ে যায়। পরদিন হাবিব মিয়াজী বাদি হয়ে ফেনী মডেল থানায় অভিযোগ করেন।
হাবিব মিয়াজি দৈনিক আমার সময়ের জেলা প্রতিনিধি।
গোয়েন্দা পুলিশের ওসি এ এনএম নুরুজ্জামান জানান, আজ বিকালে আদালতে তাদের সোপর্দ করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হবে।