জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে ফেনী জেলার ৬টি গ্রামকে ‘স্মার্ট লাইভস্টক ভিলেজ’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিয়েছে ফেনী জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর। আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে আলাপকালে ফেনী জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আনিসুর রহমান এ তথ্য জানান।


জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বলেন, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘মুজিব বর্ষ’ বাস্তবায়নের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ফেনী জেলার ছয় উপজেলার বাছাইকৃত ছয়টি গ্রামে ‘স্মার্ট লাইভস্টক ভিলেজ’ গড়ে তোলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এসব গ্রামগুলোতে বছরব্যাপী প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের নিরবিচ্ছিন্নভাবে সকল সেবা প্রদান, প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও নিয়মিত তদারকি করবে অধিদপ্তর।


তিনি জানান, স্মার্ট ভিলেজ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ফেনী সদরের কালিদহ ইউনিয়নের ভালুকিয়া, ছাগলনাইয়া পৌরসভার পশ্চিম ছাগলনাইয়া, দাগনভূঞাঁ উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর, সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের রাজাপুর, পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের পূর্ব সাহেবনগর, ফুলগাজীর কিসমত বিজয়পুরকে বাছাই করা হয়েছে।


তিনি আরও বলেন, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তারা বাছাইকৃত গ্রামে গবাদি পশু ও হাঁস মুরগীর টিকা ও চিকিৎসা প্রদান, কৃত্রিম প্রজনন, কৃমি মুক্তকরণ, ঘাস চাষ, সাইলেজ প্রযুক্তি, গাভী ও হাঁস মুরগীর মডেল খামার, বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট প্রভৃতি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ, কৃষক ও খামারিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।


জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আরও জানান, পুরো মুজিববর্ষ জুড়ে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। সঠিক পরিকল্পনা ও সেবা প্রদানের ফলে প্রাণি সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে একটি গ্রামে কি ধরণের পরিবর্তন ও উন্নতি সাধন হয়েছে তা বছর শেষে সাধারণ মানুষদের কাছে তা তুলে ধরা হবে। এছাড়া উল্লেখিত গ্রামগুলোর প্রবেশপথে প্রাণি সম্পদের তথ্য ও পরিসংখ্যান সম্বলিত সাইনবোর্ড স্থাপন করা হবে।


সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, জেলার প্রাণি সম্পদ উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করে চলছে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর ফেনী জেলা অফিস। তিনি বলেন, মুজিব বর্ষে ফেনী সদর উপজেলার ভালুকিয়া গ্রামকে একটি পূর্ণাঙ্গ ‘স্মার্ট লাইভস্টক ভিলেজে’ পরিণত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ গ্রামে সারা বছরব্যাপী প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি পালন, স্বাস্থ্যসেবা, খামারিদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শসহ নানাবিধ সেবা প্রদান করা হবে। এ গ্রামের কার্যক্রম দেখে অন্যান্য খামারিরা উৎসাহ পাবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।


উপজেলা প্রাণি সম্পদ হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ হেলাল উদ্দীন বলেন, সরকারের প্রাণি সম্পদ উৎপাদন, রক্ষণাবেক্ষণ ও স্বাস্থ্য সেবার মাধ্যমে দেশের আমিষ চাহিদা পূরণ করে দারিদ্র বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস কাজ করে যাচ্ছে। মুজিব বর্ষে ভালুকিয়া গ্রামের প্রাণি সম্পদের উন্নয়নে সকল ধরনের চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ প্রদানে ইতোমধ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।