জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে চলমান ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমাবেশ আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যলয় প্রাঙ্গনে এ সমাবেশ শুরু হয়।
জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা ও দায়রা জজ ড: বেগম জেবুননেছা, পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবীসহ সরকারি, স্বায়ত্ব শাসিত সংস্থা, আধা সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা কর্মচারীবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যদি বাংলাদেশ স্বাধীন না হত, আজ আমরা এখানে বসে কথা বলতে পারতাম না। কিছু মানুষ ধর্মকে অপব্যাখ্যা করে জাতির পিতার ভাস্কর্য নিয়ে রাজনীতি করছে। একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নয়, একজন নাগরিক হিসেবে ভাস্কর্য ভাঙ্গার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
জেলা ও দায়রা জজ ড: বেগম জেবুননেছা বলেন, এদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গা হতে পারে তা কল্পনাও করা যায় না। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তারা তাই এ বিষয়ে চুপ থাকতে পারে না।
পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ বিষয়টাকে উপলব্ধি করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া যেখানে বাংলাদেশ কল্পনা করা যায়না। সেখানে তার অপমান কোন ভাবেই মেনে নেয়ার মত না।
সিভিল সার্জন ডা: মীর মোবারক হোসাইন বলেন, জাতির পিতার অসম্মান হলে আমাদের পুরো জাতির অসম্মান হয়। তার ভাস্কর্য ভাঙ্গার ঘটনা নিন্দনীয়।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন চৌধুরীর সঞ্চালনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা: মীর মোবারক হোসাইন, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম, ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বিমল কান্তি পাল, ফেনী জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আবু দাউদ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা, ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত নাথ, ফেনী সেরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা বেগম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফেনীর উপ পরিচালক তোফায়েল আহম্মেদ চৌধুরী, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহম্মেদ।