বিভিন্ন প্রকার সবজি, কাঁচা তরকারি, ডিম ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পর এবার আবারো বাড়লো পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি-বিদেশি পেঁয়াজের কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমের দিকে থাকলেও আলু, পেঁয়াজ, ডিমের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার পথে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সংকট, অন্যদিকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বাড়তি। ফেনীতে যেসব জায়গা থেকে পেঁয়াজ আসে সেখানেই দাম বেশি রাখা হচ্ছে, যার কারণে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। গাড়িভাড়া ও আনুষাঙ্গিক অন্যান্য খরচ মিলিয়ে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানান তারা।
রোববার (২৭ অক্টোবর) সরেজমিনে ফেনীর বিভিন্ন বাজার ও আড়ত ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে মানভেদে ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারিতে যা ৯৭ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্যর মধ্যে আলু ও কেজিপ্রতি পাইকারিতে ২ থেকে ৩ টাকা বাড়তি ও রসুন ও ১ থেকে ২ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
বিসমিল্লাহ বাণিজ্যালয়ের জাহিদ হোসেন জানান, যেখান থেকে আমরা নিয়ে আসি সেখানে দাম বেড়েছে। বস্তাপ্রতি প্রায় ১৭০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ৪৮৫০ থেকে ৪৯০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ৪ হাজার ৬০০ থেকে ৪ হাজার ৭০০ টাকা বিক্রি হয়েছিল।
তিনি বলেন, কম দামে বেপারীর লোকসান হবে। গাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে দাম কিছুটা বাড়তে পারে। যেহেতু এটি কাঁচামাল দাম ওঠানামা করে তবে এবার হঠাৎ করেই দাম বেড়েছে কারন বাজারে দেশি পেঁয়াজের যোগান কম।
রমনী সাহা স্টোরের সত্ত্বাধিকারী মিন্টু সাহা বলেন, পেঁয়াজ সপ্তাহের ব্যবধানে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজের যোগান নেই বাজারে, ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি কম। যার কারণে বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়তি।
বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা জানান, মৌসুম শেষ হওয়ায় বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ার সম্ভাবনা নেই। এখন আমদানি করা পেঁয়াজ বেশি না এলে দাম আরও বাড়তে পারে।
অন্যদিকে বাজারে একটার পর একটার দাম বাড়াতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, সিন্ডিকেট ভাঙতে এখনও ব্যর্থ বর্তমান প্রশাসন। আগের সরকারের যে সিন্ডিকেট সেটি এখনও বলবৎ থাকায় একেরপর এক দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে।
আশিকুন্নবী নামে একজন ক্রেতা জানান, সবজির বাজারে আগুন জ্বলেছে কিছুদিন আগে। বাজারে আলু পেঁয়াজের দামও বেশি। সাধারণ মানুষের উপরই সব জুলুম করা হচ্ছে একের পর এক। ডিমের পর এখন পেঁয়াজের বাড়ছে। এভাবে কোটি কোটি টাকা সাধারণ মানুষের পকেট থেকে নেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের কঠিন নজরদারি প্রয়োজন।
তবে বাজারে সবজির যোগান বাড়ায় কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচ কমে ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজির মধ্যে প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়স, পটল, মুলা, ধুন্দুল, চিচিঙ্গা ও ঝিঙে ৫০-৮০ টাকায় কেনা গেছে। যা সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমেছে।