আজ মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে খ্যাত ফেনী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য আজিজ আহম্মদ চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। গত বছরের এইদিন দিবাগত রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ফেনী ডায়াবেটিক হাসপাতালে মারা যান ফেনীর সর্বজনবিদিত এ রাজনীতিবিদ। মত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
মরহুমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দিনটি পালনের লক্ষ্যে পারিবারিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আজিজ আহম্মদ চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৯ সালের ২ মার্চ তার পৈত্রিক বাড়ি ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউপির দক্ষিণ আনন্দপুর গ্রামের হাসানপুর চৌধুরী বাড়ি। তার বাবা সুলতান আহম্মদ চৌধুরী ও মা আজিজের নেছা চৌধুরী। আজিজ আহম্মদ চৌধুরী ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ পাশ করার পর শিক্ষকতায় যোগ দেন।
কিছুদিন পর রাজনীতি ও সমাজসেবায় সক্রিয় হন। তিনি প্রথমে ডিসি ছিলেন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে, ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত আনন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে স্বর্ণপদক লাভ করেন।
আজিজ আহম্মদ চৌধুরী ১৯৬৪ সালে আনন্দপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৭৩ সালে ছাগলনাইয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
তৎকালীন সভাপতি আবুল কাশেম মারা যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতিও হয়েছিলেন আজিজ আহম্মদ চৌধুরী। ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন শেষে জাতীয় পরিষদ সদস্য মনোনীত হন। ১৯৯৬ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ফেনী জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সভাপতি ছিলেন তিনি।
আজিজ আহম্মদ চৌধুরী নিজ গ্রামে প্রতিষ্ঠিত শাহ আলম চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সভাপতি। এছাড়া তিনি ফেনী ডায়াবেটিক সমিতি, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, রোগী কল্যাণ সমিতি, প্রবীণ হিতোষী সংঘসহ একাধিক সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউপির হাসানপুর চৌধুরী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে ফেনীর এ কিংবদন্তী রাজনীতিবিদকে।
তার ছোট ছেলে চৌধুরী আহমেদ রিয়াদ আজিজ রাজীব ফেনী জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।