করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রাদুর্ভাব বিবেচনায় ফেনী জেলায় জোনভিত্তিক লকডাউন করা হবে।
আজ মঙ্গলবার (৯ জুন) বিকালে ফেনী জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান জানান, স্বাস্থ্যবিভাগের লকডাউনের সুপারিশ হাতে পেলে এলাকাভিত্তিক প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। প্রত্যেক এলাকাকে জোন হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, করোনা রোগী বেশী সংক্রমিত হয়েছে এমন এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সদর, দাগনভূঞা ও ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা লকডাউনের জন্য কিছু এলাকার নাম প্রেরণ করেছে। তাদের সুপারিশমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন জানান, চিঠিতে ফেনী পৌর এলাকার ডাক্তারপাড়া, রামপুর ও শান্তিকোম্পানী রোডকে লকডাউন করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ তিন এলাকায় করোনা রোগীর সংখ্যা ২৩জন, ১১জন ও ১২জন।
তিনি জানান, দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর, পূর্বচন্দ্রপুর, ইয়াকুবপুর ও পৌর এলাকা লকডাউনের সুপারিশ করা হয়েছে। এসব এলাকায় এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা যথাক্রমে ১২জন, ২০জন, ১০জন এবং ২৮জন। এছাড়াও ছাগলনাইয়া পৌর এলাকা লকডাউনের সুপারিশ করা হয়েছে। এখানে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা ২০জন।
উল্লেখ্য, ফেনী জেলায় এপর্যন্ত শনাক্তকৃত করোনা রোগীর সংখ্যা ৩২০জন। এরমধ্যে সদরে ১২৬ জন, সোনাগাজীতে ৩৯ জন, দাগনভূঞায় ৯৩ জন, ছাগলনাইয়ায় ৩৬জন, ফুলগাজীতে ৯ জন ও পরশুরামে ১০ জন রয়েছে। এছাড়া আরও ৭ জন রয়েছেন জেলার বাইরের বাসিন্দা, যারা ফেনীতে নুমনা দিয়েছিলেন। আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৭৩ জন সুস্থ হয়েছেন। আর ৯জন মারা গেছেন।