করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দরিদ্রদের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত যারা দরিদ্র হয়ে পড়ছেন, তাদেরও খাদ্য সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। লজ্জায় চাইতে না পারা এ জনগোষ্ঠী ৩৩৩ নম্বরে কল দিলেই তাদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।
মহামারিতে লকডাউন এবং এর পরবর্তী সময়ে সরকারের সহায়তা নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান রোববার (২৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন যে অনেক মধ্যবিত্ত আছেন, যারা কারোনার কারণে দারিদ্র্যসীমার মধ্যে চলে আসবেন, তারা হয়তো লজ্জায় বলতে পারবেন না। এজন্য খাদ্য সংকটে থাকা কেউ ৩৩৩ নম্বরে কল দিলে তাকেও তালিকভুক্ত করে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।
সরকারের এটুআই প্রকল্পের আওতায় ‘৩৩৩ কল সেন্টার’ জাতীয় তথ্য ও সেবা দিতে কাজ করছে, যার সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড। করোনা ভাইরাসের এ সংকটের সময়ে দেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হেল্পলাইনে পরিণত হয়েছে কলসেন্টার ‘৩৩৩’। যে কোনো সময়ে ‘৩৩৩’ নম্বরে ফোন দিয়ে মানুষ করোনা ভাইরাস সম্পর্কে তথ্য, চিকিৎসকের পরামর্শ, খাদ্যসহ বিভিন্ন সহায়তা পাচ্ছেন। সরকারের এ ইতিবাচক উদ্যোগটি সাধারণ জনগণের মধ্যে বহুল প্রশংসিত ও গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, যাদের এনআইডি অন্য জেলায় কিন্তু সিটি করপোরেশন এলাকায় থাকেন, তাদের কাউন্সিলরাররা তালিকাভুক্ত করছেন না বলে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিয়েছি, যেখানকার এনআইডি কার্ডই নিয়ে আসুক না কেন, সাহায্য প্রার্থী সবাইকে তালিকাভুক্ত করে খাদ্য সহায়তা দিতে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কর্মহীন মানুষের খাদ্য সহায়তায় এ পর্যন্ত ৫৭৪ কোটি নয় লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন এবং কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
সূত্র: বাংলানিউজটুয়েন্টিফোরডটকম